গুগল একাউন্ট থেকে থার্ডপার্টি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটের অ্যাকসেস রিমুভ করুন


বর্তমানে বিভিন্ন সার্ভিসে সরাসরি গুগল কিংবা ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করে সাইন আপ করা যায়। ফলে দ্রুত একাউন্ট তৈরি করার দরকার হলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই এক ক্লিকে একাউন্ট তৈরি এবং লগইন করা সম্ভব হয়। এভাবে আমরা যখন কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে লগইন করি তখন সেই সার্ভিস আমাদের গুগল একাউন্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের ডেটা অ্যাকসেস করে। কোনো কোনো সার্ভিস শুধুই আমাদের একাউন্টের বেসিক ইনফরমেশন অ্যাকসেস করে আবার কোনো কোনো সার্ভিস গুগল প্লে গেমস, ড্রাইভ ফাইলস, গুগল কন্টাক্টস অ্যাকসেস করে। এমনকি এই সার্ভিস গুলো আমাদের যেসব ডেটা অ্যাকসেস করে সেগুলো ম্যানেজ করার ক্ষমতা রাখে। 


আপনি কিছু সার্ভিসের ক্ষেত্রে নাও চাইতে পারেন যে তারা আপনার একাউন্টের বিভিন্ন সেনসিটিভ ডেটা অ্যাকসেস করার ক্ষমতা রাখুক, বিশেষ করে গুগল কন্টাক্ট এ সেভ থাকা কন্টাক্ট এবং গুগল ড্রাইভের ফাইল সমুহ। আর আপনি যদি না চান সার্ভিসগুলোর আপনার ডেটা অ্যাকসেস করুক তাহলে সেই সার্ভিস কোন কোন ধরনের ডেটা অ্যাকসেস করছে সেটা দেখতে পারবেন এবং প্রয়োজনে ডেটা অ্যাকসেস বন্ধ করতে পারবেন। তো কোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট কোন ধরনের ডেটা অ্যাকসেস করছে সেটা কিভাবে জানবেন এবং কিভাবে সেই অ্যাকসেস রিমুভ করবেন সেটা জানাতেই আজকের আর্টিকেল। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেল।


গুগল একাউন্ট থেকে থার্ডপার্টি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটের অ্যাকসেস রিমুভ করার জন্য নিচের স্টেপ সমুহ ফলো করুন।


স্টেপ ১: প্রথমে আপনার ফোনের ব্রাউজার ওপেন করে google.com এ প্রবেশ করুন। যে কোনো ব্রাউজার হলেই হবে তবে ক্রোম ব্রাউজার হলে ভালো হয়।


স্টেপ ২: গুগলে প্রবেশ করার পর আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট গুগলে সাইন ইন করা না থাকলে প্রথমে সাইন ইন করে নিন এবং টপ রাইট কর্নারে থাকা প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন।


স্টেপ ৩: প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে যদি দেখেন যে গুগল একাউন্টের উপর অন্য একাউন্ট এর অ্যাকসেস রিমুভ করতে চান সে একাউন্ট সিলেক্ট করা নেই তাহলে সেটা সিলেক্ট করুন এবং ম্যানেজ ইউর গুগল একাউন্ট অপশন সিলেক্ট করুন।


স্টেপ ৩: গুগল একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট পেজে সিকিউরিটি ট্যাবে প্রবেশ করার পর নিচের দিকে স্ক্রল করে সাইনিং উইথ গুগল অপশনে ক্লিক করুন।


স্টেপ ৪: এবার যে সার্ভিসগুলো আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো ধরনের ডেটা অ্যাকসেস করছে সেগুলো দেখাবে।


স্টেপ ৫: এবার আপনি কোন সার্ভিস কোন ধরনের ডেটা অ্যাকসেস করছে সেটা দেখার জন্য সেই সার্ভিসের নামের উপর ক্লিক করুন, তাহলে সেই সার্ভিস কোন কোন ধরনের ডেটা অ্যাকসেস করছে সেগুলো দেখাবে। আপনি যদি সেই সার্ভিসের গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাকসেস রিমুভ করতে চান তাহলে রিমুভ অ্যাকসেস অপশনে ক্লিক করুন।


স্টেপ ৬: এবার আপনার কাছে অ্যাকসেস রিমুভ করার জন্য পারমিশন চাইলে ওকে বাটনে ক্লিক করুন।


এখন থেকে সেই সার্ভিস আপনার একাউন্ট থেকে আর কোনো ধরনের ডেটা অ্যাকসেস করতে পারবে না।

অ্যান্ড্রয়েড ফোন নড়াচড়া করতেই স্ক্রিন অন হচ্ছে? সমাধান দেখুন


অনেকেই যারা অ্যান্ড্রয়েড 9 কিংবা 10 এর স্টক অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোন ব্যবহার করছেন তারা হয়তো মাঝে মাঝে লক্ষ করেছেন যে আপনার ফোন হাতে নিয়ে নড়াচড়া করতেই হটাৎ করে ফোনের স্ক্রিন অন হয়ে যায়। আপনি হয়তো ভেবে অস্থির হয়ে পড়ছেন যে এমনটা হবার কারন কি। এটা মূলত সেটিংসে একটি অপশন ডিফল্ট ভাবে অন থাকার কারণে হয়। স্টক অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোন গুলোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ফোনেই এটা ডিফল্ট ভাবে অন থাকলেও কাস্টম অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোনগুলোর অনেক কম ফোনেই এটা ডিফল্ট ভাবে অন থাকে। 


আমি যখন নতুন ফোন কিনেছিলাম তখন আমিও এই ঝামেলায় পড়েছিলাম, আমারতো পকেটে ফোন রাখলেও হাঁটার সময় স্ক্রিন অন হয়ে যেত, ফলে বোতলের নিচে ফুটো হয়ে পানি পরে যাওয়ার মত আমার ফোনের চার্জ অপচয় হতো। এরপর এই সেটিংস খুঁজে পাবার পর আমি ভেবেছিলাম ভুল বশতই আমি হয়তো এই সেটিংস অন করে ফেলেছি, কিন্তু কিছুদিন আগে যখন দেখলাম আমার এক বন্ধুও এই ঝামেলা পোহাচ্ছে তখন বুঝলাম আসলে এই সেটিংস অনেক ফোনে ডিফল্ট ভাবেই অন থাকে ঠিক যেমনটা আমার ফোনে কিংবা আমার বন্ধুর ফোনে ছিলো। আমি এরকম ঝামেলা পোহালেও আমি চাই না আপনারা এরকম ঝামেলায় পরুন, তাই ভাবলাম এটার সমাধান নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখলে কেমন হয়। আর এজন্যই আজকের এই আর্টিকেল। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


ফোন নড়াচড়া করতেই ফোনের স্ক্রিন অন হওয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য নিচের স্টেপ সমুহ ফলো করুন।


স্টেপ ১: আপনার প্রথম কাজ হলো সেটিংসে প্রবেশ করা, তাই অ্যাপ ড্রয়ার থেকেই হোক আর যেখান থেকেই হোক ফোনের সেটিংসে প্রবেশ করুন।


স্টেপ ২: স্ক্রিন অন হওয়ার এই সমস্যাটা ডিসপ্লে সেটিংসের সাথে সম্পর্কিত, তাই সেটিংস থেকে ডিসপ্লে সেটিংস এ প্রবেশ করুন।


স্টেপ ৩: ডিসপ্লে সেটিংস এর অপশনগুলো থেকে অ্যাডভান্সড অপশন এ প্রবেশ করুন, যাদের ফোনে অ্যাডভান্সড অপশন থাকবে না তারা ওই পেজের নিচের দিকে স্ক্রল করুন।


স্টেপ ৪: এবার অ্যাডভান্সড অপশন গুলোর মধ্যে একেবারে নিচের দিকে স্ক্রল করে Lift to wake (ফোনের ব্র্যান্ড আলাদা আলাদা হওয়ার ক্ষেত্রে এই অপশন আলাদা আলাদা নামে থাকতে পারে, তবে অপশনের নাম যাই থাক না কেন Wake শব্দটি অবশ্যই সাথে থাকবে) অপশন এর পাশে থাকা টগল টি বন্ধ করে দিন।


এখন থেকে আর কখনোই ফোন হাতে নিয়ে নড়াচড়া করতেই ফোনের স্ক্রিন অন হবে না।

ফেসবুক একাউন্ট থেকে থার্ডপার্টি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটের অ্যাকসেস রিমুভ করুন


বর্তমানে বিভিন্ন সার্ভিসে সরাসরি গুগল(Login with Googl) কিংবা ফেসবুক(Login with Facebook) একাউন্ট ব্যবহার করে লগইন করা যায়। ফলে দ্রুত একাউন্ট তৈরি করার দরকার হলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই এক ক্লিকে একাউন্ট তৈরি এবং লগইন করা সম্ভব হয়। এভাবে তৈরি করা সার্ভিস একাউন্ট এর ক্ষেত্রে সেই সার্ভিস আপনার ফেসবুক একাউন্ট থেকে বিভিন্ন ইনফরমেশন (ফোন নাম্বার, ইমেইল, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি) অ্যাকসেস করে সেই সার্ভিসে আপনার প্রোফাইল তৈরি করে। এমনকি একবার সাইন আপ করার পর পরবর্তীতে আপনার ফেসবুক এর ইনফরমেশন গুলো আপডেট করলে সেই ইনফরমেশন সমুহও তারা অ্যাকসেস করে।


আপনি নিশ্চই চাইবেন না আপনার প্রোফাইলের সব ডেটা অ্যানালাইজ করে আপনার বিষয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুক, আর আপনি সেটা না চান তাহলে আপনার একমাত্র পদক্ষেপ হলো আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ এর একাউন্ট রিমুভ করে ডেটা অ্যাকসেস বন্ধ করা। এতে করে সেই অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট যাই হোক না কেন আপনার প্রোফাইল থেকে কোনো প্রকার ডেটা অ্যাকসেস করতে পারবে না, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনার একাউন্টটিই রিমুভ হয়ে যাবে। তো আপনি যদি ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে তৈরি করা একাউন্টের ফেসবুক থেকে ডেটা অ্যাকসেস বন্ধ করতে চান কিংবা সেই ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে একাউন্টই রিমুভ করতে চান তাহলে এই আর্টিকেল ফলো করুন।


ফেসবুক একাউন্ট থেকে থার্ডপার্টি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটের অ্যাকসেস রিমুভ করার জন্য নিচের সিম্পল স্টেপ সমুহ ফলো করেই রিমুভ করতে পারবেন।


স্টেপ ১: প্রথমেই ফেসবুকের মোবাইল অ্যাপ কিংবা যে কোনো অ্যাপ অথবা ব্রাউজার( আমি ফেসবুক অ্যাপ থেকে দেখাবো) থেকে একাউন্ট সেটিংস এ প্রবেশ করে "Apps and Websites" অপশনে প্রবেশ করতে হবে।


স্টেপ ২: "Apps and Websites" অপশনে প্রবেশ করার পর "Logged in with Facebook" অপশন এর পাশে থাকা "edit" অপশন এ ক্লিক করুন।


স্টেপ ৩: এবার আপনি যে অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের একাউন্ট রিমুভ করতে চান সেটার নামের পাশে থাকা "edit" অপশনে ক্লিক করুন।


স্টেপ ৪: এবার আপনার সিলেক্ট করা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের এডিট পেজের নিচের দিকে স্ক্রল করে "remove" অপশনে ক্লিক করুন।


স্টেপ ৫: এবার সবশেষে একাউন্ট রিমুভ করার জন্য "Remove" বাটনে ক্লিক করুন তাহলেই একাউন্ট ডিলিট হয়ে যাবে।


বিঃদ্রঃ কিছু কিছু ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ এর ক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে তাদের ওয়েবসাইটের একাউন্ট ডিলিট করে দেওয়ার পরেও তাদের ডেটাবেসে আপনার একাউন্ট রেখে দেয়, এ ধরনের ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ এর ক্ষেত্রে তাদের ওয়েবসাইটের একাউন্ট ডিলিট অপশন থেকে একাউন্ট ডিলিট না করা পর্যন্ত একাউন্ট ডিলিট হবে না, তবে আপনার ফেসবুক একাউন্ট থেকে আর কোনো ইনফরমেশন অ্যাকসেস করতে পারবে না।

হাত দিয়ে ওয়েভ করেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্ক্রিন অন-অফ করুন


টেকনোলজি দিন দিন কতইনা এগিয়ে যাচ্ছে! যতই এগিয়ে যাচ্ছে ততই আমাদের জীবন উন্নততর করছে। আগে যেসব কাজ করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হতো এখন সেগুলো কোনো ঝামেলা ছাড়াই করতে পারি। উদাহরণ স্বরূপ গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কথাই ধরুন, আগে আমরা ফোনের যেসব কাজ হাতে করতাম এখন সেগুলো মুখে বলেই করি। এত আলোচনায় না গিয়ে এবার কাজের কথায় আসি, আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে ফোনের স্কিনের সামনে হাত নিয়ে ওয়েভ করে ফোনের স্ক্রিন অন-অফ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবো।

এই আর্টিকেল থেকে আপনারা দুই ভাবে উপকৃত হতে পারেন।
  • যাদের ফোনের পাওয়ার বাটন একটু দুর্বল তারা হাত দিয়ে ওয়েভ করে ফোনের স্ক্রিন অন-অফ করার মাধ্যমে পাওয়ার বাটনের উপর চাপ কমাতে পারেন।
  • পাওয়ার বাটন না চেপে জাস্ট ফোনের স্ক্রিনের সামনে ওয়েভ করে স্ক্রিন অন-অফ করার মজা নিতে পারেন।
তো এই দুটোর মধ্যে আপনি যেটাই করতে চান না কেনো বিস্তারিত জানতে ফলো করুন সম্পূর্ণ আর্টিকেল।

কিছু কিছু ব্র্যান্ডের ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা বাই ডিফল্ট থাকলেও বেশিরভাগ ফোনের ক্ষেত্রেই এই সুবিধা সিস্টেম থেকে দেওয়া হয় না। তাই আমরা এই কাজের জন্য ওয়েভআপ নামক একটি ছোট্ট অ্যাপ ব্যবহার করবো। তো নিচের স্টেপ গুলো ফলো করার আগে এই লিঙ্ক থেকে প্লেস্টোরে গিয়ে অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন। অ্যাপ ডাউনলোড এবং ইনস্টল কমপ্লিট হলে এবার অ্যাপ ওপেন করে নিচের স্টেপ সমুহ ফলো করুন।

সার্ভিস এনাবল করুন

ওয়েভ করে স্ক্রিন অন-অফ করার সার্ভিস এনাবল করার জন্য অ্যাপটি ওপেন করে সর্ব উপরের এনাবল অপশন এর পাশে থাকা টগল এ ক্লিক করুন।

যেহেতু এই অ্যাপ ফোনের প্রক্সিমিটি সেন্সর এর মাধ্যমে কাজ করবে আর প্রক্সিমিটি সেন্সর যেহেতু ফোন কল এর সময় ব্যবহৃত হয় তাই অ্যাপ থেকে ফোন পারমিশন চাইবে। পারমিশন রিকুয়েস্ট করার জন্য রিকুয়েস্ট অপশন এ ক্লিক করুন।

এবার অ্যাপ থেকে ফোন পারমিশন allow করে দিন, তাহলে অ্যাপ এর সার্ভিস এনাবল হবে।

এতেই অ্যাপ সার্ভিস এনাবল হবে।

ওয়েভ করে স্ক্রিন অন এনাবল করুন

ওয়েভ করে স্ক্রিন অন ফিচার বাই ডিফল্ট এনাবল করাই থাকে, তবে এনাবল আছে সেটা নিশ্চিত হতে দেখুন ওয়েভ মোড অপশন এর পাশে থাকা চেকবক্স চেকড আছে কি না, না থাকলে চেকড করে দিন।

ফোনের স্ক্রিন অন করার জন্য স্ক্রিন অফ থাকা অবস্থায় ফোনের প্রক্সিমিটি সেন্সর এর সামনে হাত নিয়ে দুইবার ওয়েভ করুন তাহলেই ফোনের স্ক্রিন অন হবে। ভালোভাবে বুঝতে নিচের GIF ইমেজ দেখুন।

বাই ডিফল্ট স্ক্রিন অন করার জন্য দুটি ওয়েভ করতে হয়। তবে আপনি চাইলেই ওয়েভ সংখ্যা একটি কিংবা তিনটিও দিতে পারেন। ওয়েভ সংখ্যা পরিবর্তন করার জন্য নাম্বার অব ওয়েভ অপশন এ ক্লিক করে আপনার পছন্দ মতো ওয়েভ সংখ্যা সিলেক্ট করতে পারবেন।

ওয়েভ করে স্ক্রিন অফ এনাবল করুন

ওয়েভ করে স্ক্রিন অফ করার ফিচার বাই ডিফল্ট এনাবল থাকে না, এনাবল করার জন্য লক স্ক্রিন অপশন এর পাশে থাকা চেকবক্স টি চেকড করে দিন।

চেকবক্স এ ক্লিক করলেই আপনার কাছে আক্সেসিবিলিটি থেকে স্ক্রিন অফ করার পারমিশন চাইবে। পারমিশন দেওয়ার জন্য ওকে বাটনে ক্লিক করুন।

এবার আপনার ফোনের আক্সেসিবিলিটি সেটিংস ওপেন হলে সেখানে অ্যাপের লিস্ট থেকে ওয়েভআপ অ্যাপটি সিলেক্ট করুন।

এবার পারমিশন দেওয়ার জন্য ইউজ সার্ভিস অপশন এর পাশে থাকা টগল টি অন করে দিন।

আক্সেসিবিলিটি সার্ভিস অন করার জন্য আবারো পারমিশন চাইবে জাস্ট ওকে বাটনে ক্লিক করুন।

এবার জাস্ট ব্যাক করে আগের অ্যাপ এ ফিরে আসুন। এখন আপনি ওয়েভ করে স্ক্রিন অফ করতে পারবেন। তবে স্ক্রিন অফ করার জন্য ওয়েভ না করে হাত প্রক্সিমিটি সেন্সর এর উপর 2 সেকেন্ড এর মতো ধরে রাখতে হবে তাহলেই স্ক্রিন অফ হবে।

কতক্ষণ ধরে হাত প্রক্সিমিটি সেন্সর এর উপর ধরে থাকলে স্ক্রিন অফ হবে সেটা পরিবর্তন করার জন্য কভার টাইম বিফর লকিং অপশন এ ক্লিক করে আপনার ইচ্ছা মতো সময় সিলেক্ট করুন।

#হাড্ডি থেকে যেমন কোনদিন গোস্ত হয় না তেমনে উপজাতিরা কোনদিন দুস্ত হয় না

 Copyright Video Disclaimer]


[Sabu News 007] would like to inform you that all videos on our platform are subject to copyright protection. This copyright video disclaimer is applicable to all users accessing and using our video content.

Any unauthorized use or reproduction of our copyrighted videos, including but not limited to downloading, copying, sharing, or broadcasting without prior written consent is strictly prohibite 




অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বুক করতে হয় কিভাবে?


প্রযুক্তির এই চরম সময়েও আমরা যদি ৫০৳ রিক্সা ভাড়া দিয়ে স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে টিকেট বুক করি তাহলে আমরা কোন দিক থেকে উন্নত হলাম? যেখানে ঘরে বসে শুধুই কয়টা ক্লিক করে কোনো সময় অপচয় ছাড়াই টিকেট বুক করা যায় সেখানে স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাড়ানোর কি কোনো মানে হয়? নিশ্চই কোনো মানে হয় না। তো আমি অনেক দিন থেকেই কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বুক করতে হয় সে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু কোনো টিকেট কাটার প্রয়োজন না হওয়ায় সবগুলো প্রসেস স্কিনশট সহ দেখানো সম্ভব না হওয়ার কারণে কোনো আর্টিকেল লিখতে পারি নাই। তবে আজ হটাৎ করে টিকেট এর দরকার হওয়ায় অনলাইনে টিকেট কেটে ফেললাম এবং সকল প্রসেস এর স্কিনশট নিয়ে নিলাম। তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বুক করতে হয়।


বিঃদ্রঃ স্ক্রিনশট গুলোতে আমি আমার টিকেটের জার্নির তারিখ গুলো ঢেকে দিয়েছি, কারণ আমি চাই না কেউ জানুক আমি কখন কোথায় কোন গাড়িতে যাচ্ছি।


অফিসিয়াল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

প্রথমে আপনার বাংলাদেশ রেল সেবার অফিসিয়াল অ্যাপ এর প্রয়োজন হবে। তো এই লিঙ্ক থেকে প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।


একাউন্ট রেজিস্টার করুন

অ্যাপ ডাউনলোড করার পর আপনার কাজ হলো বাংলাদেশ রেল সেবার একাউন্ট তৈরি করা। রেজিস্টার করার জন্য রেল সেবা অ্যাপ ওপেন করে সাইন আপ ট্যাবে গিয়ে প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিয়ে রেজিস্টার ফরম সঠিক ভাবে পূরণ করে সাইন আপ বাটনে ক্লিক করুন। সকল ইনফরমেশন ঠিকঠাক থাকলে সাইন আপ হয়ে যাবে।


একাউন্ট ভেরিফাই করুন

টিকেট কেনার আগে অবশ্যই আপনার এনআইডি নম্বর অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবে অন্যথায় আপনি টিকেট কিনতে পারবেন না। তো একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য অবশ্যই আপনাকে লগইন করতে হবে। লগইন করার জন্য লগইন ট্যাবে গিয়ে লগইন ইনফরমেশন দিয়ে লগইন করুন(প্রথম বার লগইন এর সময় এসএমএস এর মাধ্যমে ফোন নাম্বার ফেরিফাই করতে বলবে)।


এবার একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য অ্যাপ হোমপেজ থেকে মেনু ওপেন করে সেটিংস অপশন এ ক্লিক করুন।


এবার সেটিংস পেজ ওপেন হলে সেখান থেকে আপডেট প্রোফাইল অপশন সিলেক্ট করুন।


এবার প্রোফাইল আপডেট এর জন্য প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিয়ে সাবমিট করুন, মনে রাখবেন ইনফরমেশন গুলো আপনার এনআইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন কার্ড(যেটা দিয়ে আপনি ভেরিফাই করতে চান) অনুসারে হতে হবে। 


  • Name এর জায়গায় আপনার পুরো নাম ইংরাজিতে লিখুন।
  • Date of Birth এর জায়গায় জন্ম তারিখ লিখুন।
  • Gender এর জায়গায় জেন্ডার সিলেক্ট করুন।
  • Identification Number এর জায়গা থেকে এনআইডি বার্থ সার্টিফিকেট যেটা দিয়ে আপনি ভেরিফাই করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন।
  • NID/Birth Certificate এর জায়গায় আপনার এনআইডি অথবা বার্থ সার্টিফিকেট এর সিরিয়াল নাম্বার লিখুন।

আপনার সাবমিট করা ইনফরমেশন গুলো আপনার এনআইডি অথবা বার্থ সার্টিফিকেট এর ইনফরমেশন গুলোর সাথে সঠিক থাকলে একাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে।


টিকেট ক্রয় করুন

একাউন্ট ভেরিফাই করার পর এখন আপনি টিকেট ক্রয় করতে পারেন। টিকেট কেনার জন্য অ্যাপ এর হোমপেজ থেকে Purchase অপশন এ প্রবেশ করুন।


এবার কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন এ যেতে চান কবে যেতে চান এগুলো সিলেক্ট করে সার্চ ট্রেইন অপশন এ ক্লিক করুন।


  • From Station অপশন এ ক্লিক করে আপনি কোন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে চান সেটা সিলেক্ট করুন।
  • To Station অপশন এ ক্লিক করে আপনি কোন স্টেশন পর্যন্ত যেতে চান সেটা সিলেক্ট করুন।
  • Journey Date এ ক্লিক করে আপনি কবে ভ্রমণ করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন।


এবার আপনি যে স্টেশন এবং তারিখ সিলেক্ট করেছিলেন সেই অনুযায়ী যেসব ট্রেন এর শিডিউল আছে সেগুলো এবং তাদের সিডিউল এর সময় দেখাবে। এখান থেকে আপনি যে ট্রেনে জার্নি করতে চান সেটাতে কতজন এর টিকেট কিনতে চান, কোন ধরনের আসনের টিকেট কিনতে চান সেগুলো সিলেক্ট করে Select Seat অপশনে ক্লিক করুন।


এবার আপনার সিলেক্ট করা ট্রেনে কোন কোন বগিতে সিট খালি আছে সেটা দেখাবে। এখান থেকে আপনার পছন্দ মত একটি বগি সিলেক্ট করুন।


এবার আপনার সিলেক্ট করা বগির ভিতরের স্ট্রাকচার দেখাবে। এখানে সবুজ চিহ্নিত সিটগুলো আভেলেভল আছে। তো এখান থেকে আপনার পছন্দ মতো সিট সিলেক্ট করুন। আপনার সিলেক্ট করা সিট টি গারো সবুজ কালারে হাইলাইট হবে। সিট সিলেক্ট করা হলে নিচের দিকে স্ক্রল করে Continue বাটনে ক্লিক করুন।


এবার আপনার সিলেক্ট করা সিটের ডিটেইলস সিট সংখ্যা এগুলো দেখাবে। এবার টিকেটের দাম পেমেন্ট করার জন্য আপনার বয়স এবং জেন্ডার সিলেক্ট করে PAY NOW বাটনে ক্লিক করুন।


এবার আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ের নীতিমালা গুলো দেখানো হবে, আপনি চাইলে নীতিমালা গুলো পড়ে দেখতে পারেন। নীতিমালা গুলোর সাথে একমত হতে I Agree বাটনে ক্লিক করুন।


এবার আপনি কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন। আমার কাছে বিকাশ আছে তাই আমি বিকাশ সিলেক্ট করবো।


এবার আপনার বিকাশ মোবাইল নম্বর ইনপুট করে CONFIRM বাটনে ক্লিক করুন।


এবার আপনার বিকাশ নম্বরে পাঠানো ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে পেমেন্ট ভেরিফাই করুন।


পেমেন্ট সঠিক ভাবে হয়ে গেলে নিচের মতো একটি মেসেজ দেখাবে। এর পর ত্রিশ মিনিটের মধ্যে আপনার টিকেট রেল কর্মকর্তা দ্বারা ভেরিফাই করা হবে।


টিকেট সংগ্রহ করুন

ভেরিফাই করার পর আপনাকে আপনার টিকেট আপনার একাউন্ট ইমেইলে মেইল করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এছাড়া আপনি অ্যাপ এর হোমপেজ থেকে হিস্টোরি অপশনে প্রবেশ করে আপকামিং টিকেট এর লিস্ট এ আপনার টিকেট দেখতে পাবেন।


অ্যাপ থেকে টিকেট সংগ্রহ করুন

অ্যাপ থেকে টিকেট সংগ্রহ করার জন্য পেমেন্ট করার ত্রিশ মিনিট পর অ্যাপ এর হোমপেজ থেকে হিস্টোরি অপশনে প্রবেশ করুন।


হিস্টোরি পেজে আপকামিং ট্যাবে আপনার টিকেট দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনার টিকেট এর উপর ক্লিক করুন।


এবার আপনার টিকেট এর সকল ডিটেইলস দেখাবে এবং পাশে একটি ডাউনলোড আইকন দেখতে পাবেন। জাস্ট ডাউনলোড আইকন এ ক্লিক করে টিকেট ডাউনলোড করে নিন।


ইমেইল থেকে টিকেট সংগ্রহ করুন

পেমেন্ট কমপ্লিট করার ত্রিশ মিনিট পর আপনার মেইল ওপেন করে দেখুন বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে একটি মেইল আসবে সেটা ওপেন করুন।


আপনার টিকের টি পিডিএফ ফাইল হিসেবে থাকবে। টিকেট টি ডাউনলোড করার জন্য ডাউনলোড আইকন এ ক্লিক করুন। এখন আপনি চাইলে আপনার ডাউনলোড করা টিকেট প্রিন্ট করে নিতে পারেন অথবা আপনার ফোনে নিয়েই জার্নি করতে পারেন। পরবর্তীতে ট্রেনের মধ্যে টিকেট দেখতে চাইলে আপনার ফোন থেকে দেখলেই চলবে।


কিভাবে টিকেট ভেরিফাই করা হয়

অনেকেই হয়তো ভেবে নিয়েছেন যে যেহেতু টিকেট ডিজিটালাইজ তাই আপনি পিডিএফ এডিট করে টিকেট জাল করলে টিকেট চেকার ধরতে পারবে না, কিন্তু আপনি সম্পূর্ণ রূপেই ভুল। আপনি টিকেট এর মধ্যে দেখবেন সেখানে আপনার ফোন নম্বর এবং একটি পিন আছে। রেল সেবার অ্যাপে মেনু থেকে ভেরিফাই টিকেট অপশনে প্রবেশ করে আপনার টিকেটের ফোন নাম্বার এবং পিন বসিয়ে সার্চ করলেই আপনার টিকেট সঠিক কি না সেটা জানা যাবে। তাই যারা টিকেট জাল করার কথা ভাবছেন তাদের বলে রাখি কোনো ভাবেও এমন কাজ করার কথা ভাববেনও না। জাল টিকেট নিয়ে ধরা পড়লে আপনার অনেক বড় জরিমানা এমনকি জেল পর্যন্ত হতে পারে। সুতরাং আগে থেকেই সাবধান থাকুন।


ট্রেনে জার্নি করার সময় অবশ্যই সাবধানে জার্নি করবেন। আর ট্রেনের মধ্যে ঘুমানোর সময় একটু বেশীই সাবধানে থাকবেন, হ্যাপি জার্নি।