গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এ কাস্টম কমান্ড তৈরি করুন!

অ্যান্ড্রয়েড চালিত ডিভাইসগুলোতে থাকা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট গুলোর মধ্যে অনেক জনপ্রিয়। আমরা অনেকেই গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করে ফোন কল করা, মিউজিক প্লে করা, টর্চ জ্বালানো, কাউকে টেক্সট করা, অ্যাপ ওপেন করা, ডিভাইসের ভলিউম কন্ট্রোল করা, কিংবা গুগলে কোনো কিছু সার্চ করার মত ছোটখাটো কাজগুলো করে থাকি। কিন্তু কথা হলো যে আমরা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এ একটি কম্ন্ড দিয়ে একটি কাজ করে থাকি। এখন আপনি যদি একটি কমান্ড দিয়ে একই সাথে একাধিক কাজ যেমন "Cool Volume" কমান্ড দিয়ে একই সাথে ফোন সাইলেন্ট করতে চান এবং ফোনের ভলিউম 30% এ নিতে চান তাহলে আপনাকে কাস্টম কমান্ড তৈরি করতে হবে। কাস্টম কমান্ড তৈরি করে আপনি একটি কমান্ড দিয়েই এক বা একাধিক কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনি যদি কাস্টম কমান্ড কিভাবে তৈরি করতে হয় সে বিষয়ে অবগত না থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল ফলো করতে পারেন।


How to create custom command on google assistant


গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এ কাস্টম কমান্ড তৈরী করতে হলে নিচের স্টেপ গুলো একটির পর একটি ফলো করুন।

স্টেপ ১: গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাস্টম কমান্ড তৈরি করার জন্য আপনার প্রথম কাজ হলো আপনার ফোনের সেটিংস এ প্রবেশ করে সেখান থেকে গুগল এ প্রবেশ করা।


স্টেপ ২: এবার আপনার গুগল একাউন্ট প্যানেল ওপেন হবে, সেখান থেকে একাউন্ট এবং সার্ভিসেস অপশন এ ক্লিক করুন।


স্টেপ ৩: এবার আপনার গুগল একাউন্ট সার্ভিসেস এর লিস্ট ওপেন হলে সেখান থেকে "সার্চ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ভয়েজ" অপশন সিলেক্ট করুন।


স্টেপ ৪: এবার সেটিংস অপশন গুলোর মধ্যে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সিলেক্ট করুন।


স্টেপ ৫: অ্যাসিস্ট্যান্ট সেটিংস পেজে অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্যাব এ প্রবেশ করুন এবং সেখান থেকে রুটিনস অপশন সিলেক্ট করুন।


স্টেপ ৬: রুটিনস পেজে আপনাকে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর রেডিমেড কমান্ড গুলোর লিস্ট দেখানো হবে। আপনি চাইলে রেডিমেড কমান্ডগুলো কাস্টোমাইজ করতে পারেন অথবা নতুন কাস্টম কমান্ড যুক্ত করতে পারেন। কাস্টম কমান্ড যুক্ত করার জন্য "অ্যাড এ রুটিন" অপশন এ ক্লিক করুন।


স্টেপ ৭: রুটিন তৈরির পেজে আপনি যে কমান্ড তৈরি করবেন সেটা ইনপুট করার জন্য "অ্যাড কমান্ডস" অপশন এ ক্লিক করুন।


স্টেপ ৮: এবার আপনি যে কমান্ড দিতে চান সেটা ইনপুট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন, আপনি চাইলে অ্যাড বাটনে ক্লিক করে একই কাজের জন্য একাধিক কমান্ড তৈরি করতে পারবেন।


স্টেপ ৯: আপনার কমান্ড এ অ্যাসিস্ট্যান্ট এর টাস্ক ইনপুট করার জন্য "Assistant Will" অপশন এর নিচে থাকা "অ্যাড অ্যাকশন" অপশন এ ক্লিক করুন।


স্টেপ ১০: অ্যাকশন ইনপুট করার পেজে আপনার কমান্ড এ অ্যাসিস্ট্যান্ট যেটা করবে সেটা ইনপুট করে অ্যাড বাটনে ক্লিক করুন, এছাড়া আপনি জনপ্রিয় অ্যাকশন গুলো রেডিমেড পেতে "Browse Popular Actions" ট্যাবে যেতে পারেন। আর আপনি এক কমান্ড এ একাধিক কাজ সম্পন্ন করতে চাইলে আগের মতই "অ্যাড অ্যাকশন" অপশন এ ক্লিক করে অ্যাসিস্ট্যান্ট এর টাস্ক ইনপুট করতে হবে।


স্টেপ ১১: অবশেষে কমান্ড এবং টাস্ক ইনপুট শেষ হলে এবার সেভ বাটনে ক্লিক করে আপনার তৈরি কমান্ড সেভ করুন।


কাস্টম ভাবে তৈরি কমান্ড গুলো কাজ করার জন্য প্রথম দিকে ইন্টারনেট কানেক্ট থাকা লাগে। পরবর্তীতে অ্যাসিস্ট্যান্ট নিজেকে কমান্ড এর সাথে অ্যাডজাস্ট করে নেয়।


কাস্টম কমান্ড ডিলেট করুন

আপনি যদি আপনার তৈরি কাস্টম কমান্ড ডিলেট করতে চান তাহলে নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন।

স্টেপ ১: প্রথমে আগের মতই রুটিনস পেজে প্রবেশ করে যে কমান্ড ডিলেট করতে চান সেটাতে ক্লিন করুন।


স্টেপ ২: এবার উপরের টুল বারে থাকা ডিলেট আইকন এ ক্লিক করুন।


স্টেপ ৩: ডিলেট আইকন এ ক্লিক করলে রুটিন ডিলেট করার জন্য পারমিশন চাইবে, এবার আপনি ডিলেট রুটিন অপশন এ ক্লিক করুন, তাহলেই রুটিন ডিলেট হয়ে যাবে।

গুগল ড্রাইভের ফাইল শেয়ার করতে হয় কিভাবে?

গুগল ড্রাইভ একটি ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস, যেখানে আমরা আমাদের দরকারি সব ফাইল স্টোর করতে পারি। গুগল ড্রাইভে আপলোড করা ফাইল গুলো গুগল এর সার্ভারে স্টোর করা থাকে তাই সেগুলো হারানোর ভয় থাকে না। অনেক সময় আপলোড থাকা কোনো ফাইল আমাদের অন্যের সাথে শেয়ার করার দরকার হতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা ড্রাইভ ফাইলের ডাউনলোড লিঙ্ক শেয়ার করতে পারি। তাছাড়া কোনো বড় সাইজের ফাইল যেটা ইমেইল এর মাধ্যমে পাঠানো সম্ভব হয় না সেগুলো ড্রাইভে আপলোড করে লিঙ্ক শেয়ার করতে পারি। তো আপনি যদি এ বিষয়ে অবগত না থাকেন যে কিভাবে ড্রাইভে আপলোড করা ফাইলের অথবা ফোল্ডারের লিঙ্ক শেয়ার এনাবল করতে হয় এবং লিঙ্ক বের করতে হয় তাহলে আপনি এই আর্টিকেল ফলো করতে পারেন।


গুগল ড্রাইভে আপলোড করা ফাইল এর ক্ষেত্রে আমরা শুধু একটি মাত্র ফাইল শেয়ার করতে পারি আবার পুরো ফোল্ডার এর লিঙ্ক শেয়ার করতে পারি। তো পুরো বিষয়টি আমরা ফাইল এবং ফোল্ডার আকারে দু ভাগ করে সম্পন্ন করবো।


ফাইলের লিঙ্ক শেয়ার

লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য আমাদের প্রথম কাজ হলো ফাইলটির লিঙ্ক শেয়ার অপশন এনাবল করা এবং তার পর লিঙ্ক কপি করে শেয়ার করা। তো লিঙ্ক শেয়ার এনাবল করার জন্য প্রথমে ফাইলটি আপনার ড্রাইভে খুঁজে বের করুন, আর ফাইলটি আগে থেকে আপলোড করা না থাকলে ফাইলটি আপলোড করুন। এবার ফাইলটি খুঁজে বের করে তার নামের পাশে থাকা থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করুন।


থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করলে ফাইলটির সেটিংস মেনু ওপেন হবে সেখান থেকে আপনি "লিঙ্ক শেয়ারিং(ডিফল্ট ভাবে অফ থাকে)" অপশন এ ক্লিক করে লিঙ্ক শেয়ারিং এনাবল করুন।


লিঙ্ক শেয়ারিং অপশন এ ক্লিক করলে ফাইলের লিঙ্ক অটোমেটিক কপি হয়ে যাবে, আপনি যে কোনো উপায়ে(ইমেইল, মেসেজ ইত্যাদি) এখন সেই লিঙ্ক শেয়ার করতে পারবেন। তবে আপনি যদি লিঙ্ক অটো কপির পর অন্য কিছু কপি করেন তাহলে আবার লিঙ্ক কপি করার জন্য পুনরায় থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করে এবার কপি লিঙ্ক অপশন এ ক্লিক করুন, তাহলেই লিঙ্ক কপি হয়ে যাবে।


 লিঙ্ক কপি করার পর আপনি এখন সেই লিঙ্ক যে কোনো উপায়ে শেয়ার করতে পারেন।


ফোল্ডারের লিঙ্ক শেয়ার

আপনি যদি এক সাথে একাধিক ফাইল শেয়ার করতে চান তাহলে আপনি সবগুলো ফাইলকে একই ফোল্ডার এ রেখে পুরো ফোল্ডার এর লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। ফোল্ডার এর লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য প্রথমে যে ফোল্ডার এর লিঙ্ক শেয়ার করতে চান সেটাতে প্রবেশ করে টপ টাইট কর্নারে থাকা থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করুন।


থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করলে ফোল্ডার এর যে সেটিংস মেনু ওপেন হবে সেখান থেকে "লিঙ্ক শেয়ারিং(ডিফল্ট ভাবে অফ থাকে)" অপশন এ ক্লিক করে পুরো ফোল্ডার এর জন্য শেয়ারিং এনাবল করুন।


লিঙ্ক শেয়ারিং অপশন এ ক্লিক করলে ফোল্ডার এর  লিঙ্ক অটোমেটিক কপি হয়ে যাবে, আপনি যে কোনো উপায়ে(ইমেইল, মেসেজ ইত্যাদি) এখন সেই লিঙ্ক শেয়ার করতে পারবেন। তবে আপনি যদি লিঙ্ক অটো কপির পর অন্য কিছু কপি করেন তাহলে আবার লিঙ্ক কপি করার জন্য পুনরায় টপ রাইট কর্নারে থাকা থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করে এবার কপি লিঙ্ক অপশন এ ক্লিক করে আবারো লিঙ্ক করে কপি করুন।


 লিঙ্ক কপি করার পর আপনি এখন সেই লিঙ্ক যে কোনো উপায়ে শেয়ার করতে পারেন।


লিঙ্ক শেয়ারিং ডিসেবল করুন

আপনি যদি পরবর্তীতে কখনো না চান যে আপনার শেয়ার করা লিঙ্ক থেকে আপনার আপলোড করা ফাইল অ্যাকসেস করুক, তাহলে আপনি লিঙ্ক শেয়ারিং ডিসেবল করতে পারেন। লিঙ্ক শেয়ারিং ডিসেবল করলে যতই কারো কাছে লিঙ্ক থাকুক না কেন ফাইল অ্যাকসেস করতে পারবে না। তো আপনি যদি লিঙ্ক শেয়ারিং ডিসেবল করতে চান তাহলে আগের মতই ফাইল বা ফোল্ডার এর থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করে "লিঙ্ক শেয়ারিং(শেয়ারিং এনাবল থাকেলে অন লেখা থাকবে এবং লিঙ্ক আইকন সবুজ কালারে থাকবে)" অপশন এ ক্লিক করুন, তাহলেই আর কেউ লিঙ্ক থেকে ফাইল অ্যাকসেস করতে পারবে না।

ফোনের হারানো ফোন কন্টাক্ট গুলো খুজে পান ফেসবুকে!

ফোন রিসেট কিংবা ফোন পরিবর্তন এর কারণে ফোনের কন্টাক্ট গুলো হারানো কোনো নতুন ঘটনা না, আমাদের অনেকের সাথেই প্রায়ই ঘটনা ঘটে থাকে। তো ফোন হারানোর ফলে কিংবা ফোন রিসেট করার ফলে অনেক সময় আমাদের দরকারি ফোন কন্টাক্ট নাম্বার গুলো হারিয়ে যায়। তো আপনিও যদি এরকম ঝামেলায় পড়ে থাকেন তাহলে আপনি ফেসবুক থেকে আপনার ফোন এর হারানো কন্টাক্ট নাম্বার গুলো খুজে পেতে পারেন। তবে কন্টাক্ট নাম্বার গুলো খুজে পাবার জন্য একটি পূর্ব শর্ত আছে, আপনার ফেসবুক সেটিংস এ অবশ্যই আগে থেকে কন্টাক্ট আপলোড এনাবল থাকতে হবে, অন্যথায় আগে থেকে আপনার কোনো ফোন কন্টাক্ট আপলোড হতে পারে নাই। এক্ষেত্রে সুবিধাটি হলো যে ফেসবুক আগে থেকেই ডিফল্ট ভাবে কন্টাক্ট আপলোড এর অপশন এনাবল করে রাখে যাতে আপনার ফোনের সেভ থাকা কন্টাক্ট অনুযায়ী আপনাকে ফ্রেন্ড সাজেশন দেখাতে পারে। তো আপনিও যদি আপনার হারানো কন্টাক্ট গুলো ফেসবুক থেকে খুঁজে পেতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল ফলো করতে পারেন।


How to recover deleted phone contacts from facebook?


ফেসবুক এবং মেসেঞ্জার এ আলাদা আলাদা ভাবে কন্টাক্ট গুলো আপলোড হয়, এর ফলে আপনার কোনো ভাবে ফেসবুক এর কন্টাক্ট আপলোড বন্ধ থাকলেও মেসেঞ্জার এ আপলোড হবে। একই ভাবে মেসেঞ্জার এ বন্ধ থাকলেও ফেসবুক এ আপলোড হবে। ফলে আপনার হারানো কন্টাক্ট খুঁজে পাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিন্তু সমস্যা টা হলো আপনি এক ক্লিকে কন্টাক্ট গুলো আগের অবস্থায় মানে আপনার ফোনে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না, আপনি জাস্ট কন্টাক্ট এর নাম এবং নম্বর দেখতে পারবেন। আর আপনার ফোনে আবার আনতে হলে আপনাকে আবার সেটা ম্যানুয়ালি লিখে সেভ করতে হবে।


ফেসবুক এর কন্ট্যাক্ট দেখুন

ফেসবুক এ সেভ থাকা কন্টাক্ট গুলো দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই ফেসবুক লাইট অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। সরাসরি ফেসবুক অ্যাপ থেকে আপনি কন্টাক্ট গুলো খুজে পাবেন না। তো আপনার ফেসবুক লাইট থাকলে তো ভালো আর না থাকলে এই লিঙ্ক এ গিয়ে ইনস্টল করে নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন।


স্টেপ ১: প্রথমে ফেসবুক লাইট অ্যাপ থেকে আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগইন করে মেনু থেকে সেটিংস এ প্রবেশ করুন।


স্টেপ ২: ফেসবুক লাইট থেকে সেটিংস এ গিয়ে নিচের দিকে স্ক্রল করে দেখুন সেখানে ইমপোর্টেড কন্টাক্ট নামে একটি অপশন আছে সেখানে ক্লিক করুন।


স্টেপ ৩: ইমপোর্টেড কন্টাক্ট এ ক্লিক করলে আপনাকে কন্টাক্ট নামগুলোর লিস্ট এবং প্রতিটি নামের পাশে ডট আকারে নাম্বার দেখাবে।


স্টেপ ৪: এবার আপনি যে কন্টাক্ট এর সম্পূর্ণ নাম্বার দেখত চান সেটার নিচে থাকা "সি কন্টাক্ট ইনফরমেশন" অপশন এ ক্লিক করুন।


স্টেপ 5: এবার আপনি যে কন্টাক্ট এর উপর ক্লিক করেছিলেন সেটার সম্পূর্ণ কন্টাক্ট নাম্বার এবং নাম্বার এর সাথে যদি ইমেইল সেভ করা থাকে সেটা দেখাবে।


মেসেঞ্জার এর কন্ট্যাক্ট দেখুন

মেসেঞ্জার এ সেভ থাকা কন্টাক্ট গুলো দেখার জন্য আপনার অবশ্যই ফেসবুক মেসেঞ্জার এর দরকার পরবে। ফেসবুক মেসেঞ্জার এ সেভ থাকা কন্টাক্ট গুলো দেখার জন্য নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন।


স্টেপ ১: ফেসবুক মেসেঞ্জার ওপেন করে ফেসবুক মেসেঞ্জার স্ক্রিন এর টপ লেফট কর্নারে থাকে আপনার প্রোফাইল ইমেজে ক্লিক করুন।


স্টেপ ২: প্রোফাইল ইমেজে ক্লিক করলে আপনাকে মেসেঞ্জার এর একাউন্ট প্যানেল এ নিয়ে আসা হবে, আপনি নিচের দিকে স্ক্রল করে ফোন কন্টাক্টস অপশন এ ক্লিক করুন।


স্টেপ ৩: ফোন কন্টাক্টস অপশন এ ক্লিক করলে যে পেজ আসবে সেখানে দুটি অপশন দেখতে পাবেন, সেখান থেকে ম্যানেজ কন্টাক্টস অপশন এ ক্লিক করুন।


স্টেপ ৪: ম্যানেজ কন্টাক্টস পেজে মেসেঞ্জার এ সেভ থাকা সকল কন্টাক্ট নেম এবং তার পাশে ডট আকারে কন্টাক্ট নাম্বার দেখাবে।


স্টেপ ৫: এবার আপনি যে কন্টাক্ট এর সম্পূর্ণ কন্টাক্ট নাম্বার দেখতে চান সেটাতে ক্লিক করুন।


স্টেপ ৬: এবার আপনি যে কন্টাক্ট এর উপর ক্লিক করেছিলেন সেটার সম্পূর্ণ কন্টাক্ট নাম্বার এবং নাম্বার এর সাথে যদি ইমেইল সেভ করা থাকে সেটা দেখাবে।

ক্রোম ব্রাউজারে ব্রাউজিং করুন সম্পূর্ণ ডার্ক মোডে!

বর্তমান সময়ে একটি নতুন ট্রেন্ড ডার্ক মোড। ধীরে ধীরে সকল অ্যাপ এ ডার্ক মোড ফিচার যুক্ত হচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত অ্যাপগুলো ডার্ক মোড হলেও কিন্তু ওয়েবসাইট গুলো হচ্ছে না। ওয়েবসাইট গুলো ডার্ক মোড হচ্ছে না বলে যে সেগুলো ডার্ক মোড করা যাবে না টা কিন্তু না। বর্তমানে অনেক ব্রাউজার ই ওয়েবসাইট ডার্ক মোড এর সুবিধা দিয়ে থাকে। অন্যান্য জনপ্রিয় ব্রাউজার গুলোর সাথে আমাদের বহুল ব্যবহূত ক্রোম ব্রাউজার ও ব্রাউজার ডার্ক মোড এবং ওয়েবসাইট ডার্ক মোড উভয় সুবিধা দিয়ে থাকে, সেই সাথে ক্রোম এর ওয়েবসাইট ডার্ক মোড ফিচার ওয়েবসাইট গুলো নিখুঁত ভাবে ডার্ক মোড করত সক্ষম। ডার্ক মোড যদি আপনারও পছন্দের ফিচার হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই আর্টিকেল ফলো করে ব্রাউজার এবং ওয়েবসাইট উভয়ের জন্য ডার্ক মোড এনাবল করতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


ব্রাউজার এবং ওয়েবসাইট উভয়কে ডার্ক মোড করার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে দুই জায়গায় ডার্ক মোড এনাবল করতে হবে। আমরা প্রথমে ব্রাউজার এর জন্য ডার্ক মোড এনাবল করবো এবং এর পর সকল ওয়েবসাইট এর জন্য ডার্ক মোড এনাবল করবো।


ব্রাউজার ডার্ক মোড

ক্রোম ব্রাউজার ডার্ক মোড করার প্রসেস অনেক ছোট। ব্রাউজার ডার্ক মোড করার জন্য প্রথমে ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে সেটিংস এ প্রবেশ করুন এবং সেখান থেকে থিম অপশন সিলেক্ট করুন।



এবার ব্রাউজার ডার্ক মোড করার জন্য থিম হিসেবে ডার্ক থিম সিলেক্ট করুন, তাহলেই ব্রাউজার এর ইন্টারফেস ডার্ক মোড হয়ে যাবে।



ওয়েবসাইট ডার্ক মোড

সকল ওয়েবসাইট ডার্ক মোড করতে হলে আমাদের ক্রোম ফ্লাক্স থেকে ডার্ক মোড এনাবল করতে হবে। তো ক্রোম ফ্লাক্স থেকে ডার্ক মোড এনাবল করার জন্য প্রথমে ক্রোম অ্যাড্রেস বারে chrome://flags টাইপ করে ক্রোম ফ্লাক্স এ প্রবেশ করুন।



ক্রোম ফ্লাক্স এ প্রবেশ করলে সেখানে একটি সার্চ বার পাবেন, ওই সার্চ বারে ডার্ক মোড লিখে সার্চ করুন এবং সার্চ রেজাল্ট থেকে "Force Dark Mode for Web Contents" অপশন এর নিচে থাকা সিলেকশন মেনু থেকে এনাবল অপশন সিলেক্ট করুন।



এনাবল অপশন সিলেক্ট করার পর ব্রাউজারের নিচের দিকে Relaunch নামে একটি বাটন দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করুন।



Relaunch বাটনে ক্লিক করলেই ক্রোম ব্রাউজার ক্লোজ হয়ে আবার ওপেন হবে, এবার থেকে সকল ওয়েবসাইট ডার্ক মোড ব্রাউজিং করতে পারবেন।


ডার্ক মোড ডিসএবল

ডার্ক মোড এনাবল করার পর আপনার যদি সেটা ভালো না লাগে তাহলে আপনি অবশ্যই সেটা বন্ধ করতে চাইবেন। ডার্ক মোড বন্ধ করার জন্য আপনাকে আগের মতই সেটিংস এবং ক্রোম ফ্লাক্স থেকে যেভাবে এনাবল করেছেন সেভাবেই ডিসেবল করতে হবে। ব্রাউজার এ ডার্ক মোড ডিসএবল করার জন্য আগের মতই থিম সেটিংস এ প্রবেশ করে এবার থিম হিসেবে লাইট থিম সিলেক্ট করুন, আর ওয়েবসাইট এর জন্য ডার্ক মোড ডিসেবল করার জন্য আগে যেভাবে ক্রোম ফ্লাক্স থেকে ডার্ক মোড এনাবল করার জন্য এনাবল অপশন সিলেক্ট করেছিলেন ঠিক সেভাবেই এবার ডিসেবল করার জন্য ডিফল্ট অপশন সিলেক্ট করতে হবে এবং ব্রাউজার Relaunch করতে হবে।

অনলাইন একাউন্ট এর সুরক্ষার জন্য যা যা করা উচিত

ইন্টারনেটের পরিসর বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিটি ইউজারের অনলাইন একাউন্টের সংখ্যা। সেই সাথে ইন্টারনেটে বৃদ্ধি পাচ্ছে হ্যাকারদের সংখ্যা। অনলাইন একাউন্ট হ্যাক হচ্ছে এরকম খবর তো প্রায়ই পাওয়া যায়। কার একাউন্ট কখন হ্যাক হবে সেটার নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। যদিও একাউন্ট হ্যাক হবে না এরকম শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব না তার পরেও আমরা চাইলেই আমাদের একাউন্ট এর সিকিউরিটি শক্তিশালী করে হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক কমিয়ে আনতে পারি। তো এই আর্টিকেল এ আমি একাউন্ট সিকিউর রাখার কিছু দরকারি টিপস নিয়ে আলোচনা করবো, বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার অনুরোধ রইলো।


Security Guide For Online Accounts 


একাউন্ট কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন সেটা জানার আগে জানা যাক কেনো আপনার একাউন্ট হ্যাক হতে পারে।


হ্যাকার কেনো আপনার একাউন্ট হ্যাক করবে?

দেখা যাবে অনেকে কমেন্ট করে বলবে হ্যাকার কেনো আমার একাউন্ট টার্গেট করবে, আমি কি কোনো সেলিব্রেটেড মানুষ নাকি?। তাহলে তাদের উদ্দেশ্যে বলি গোপনীয়তা সবারই আছে। আর হ্যাকাররা যে সবসময় কারো একাউন্টকে টার্গেট করে কাজ করে তা কিন্তু না, তারা র্যান্ডম অ্যাটাকও দিয়ে থাকে। এতে যার অ্যাকাউন্টই হ্যাক হোক না কেনো তার একাউন্ট থেকে সব ডাটা চুরি করে ঐ ডাটা থেকে তারা ভিক্টিম এর দুর্বলতা সমুহ খুজে বের করে। এরপর সেই দুর্বলতাকে অস্ত্র হিসেবে ইউজ করে তাকে ব্লাকমেইল করার মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে।


আশা করি এতক্ষণ এ নিশ্চই বুঝে গেছেন হ্যাকার কেনো আপনার একাউন্ট হ্যাক করতে পারে, এবার তাহলে একাউন্ট হ্যাক করা ঠেকাতে কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।


শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা

একাউন্ট হ্যাক করা ঠেকাতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল  তো  দেখা যায় একেক জন ইউজারের 25-30 টি করে অনলাইন একাউন্ট, আমি অন্য কারুর কথা বলবো না যেখানে আমারই 22 টি অনলাইন একাউন্ট।  এতগুলো একাউন্টের পাসওয়ার্ড মনে রাখার ভয়ে অনেকেই সিম্পল মানের পাসওয়ার্ড ইউজ করে থাকেন। যারা সিম্পল মানের পাসওয়ার্ড ইউজ করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি সিম্পল মানের পাসওয়ার্ড ইউজ মানের বাদ দিন। পাসওয়ার্ড যত বড় এবং শক্তিশালী হবে একাউন্ট হ্যাক হতে তত বেশি সময় লাগবে। তাই একাউন্ট এর সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা অনেক জরুরী। এবার জেনে নিন কিভাবে একটি কমপ্লেক্স পাসওয়ার্ড নির্বাচন করবেন এবং সেটা মনে রাখবেন।


  • শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এর প্রথম শর্ত হলো যতটা সম্ভব বড় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। কেননা পাসওয়ার্ড যতো বড় হবে সেটা ক্রাক করতে সময় ততটাই বেশি লাগবে, বুঝতেই তো পারছেন কোথায় 8 ক্যারেক্টার এর পাসওয়ার্ড এর কোথায় 17-18 ক্যারেক্টার এর।
  • ক্যাপিটাল লেটার স্মল লেটার এবং নাম্বার মিশ্রিত করে ইউজ করুণ, এতে করে পাসওয়ার্ড এর শক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে।
  • পাসওয়ার্ডের মধ্যে কিছু স্পেশাল ক্যারেক্টার (" ' - _ + = & ; : * # ¥ § $ € £ ইত্যাদি) ইউজ করুণ।
  • পাসওয়ার্ড লম্বা হলে মনে রাখা কঠিন হয়ে যায় তাই পাসওয়ার্ডের ক্যারেক্টার গুলোর মধ্যে এমনভাবে মিল রাখুন যাতে সহজেই মনে রাখা যায়।
  • আমরা স্বভাবতই একটি এলোমেলো ওয়ার্ডের থেকে একটি বড় বাক্য সহজেই মনে রাখতে পারি, তাই লম্বা পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে আপনার মনে থাকবে এমন একটি পূর্ণ বাক্য ইউজ করতে পারেন।
  • প্রযুক্তির এই চরম সময়ে আপনার সবগুলো একাউন্টের পাসওয়ার্ড মেমরাইজ করার জন্য একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজারই যথেষ্ট। ডিভাইসে অথবা ব্রাউজারে জাস্ট পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ইনস্টল করে একাউন্ট করলেই হয়ে গেল। তবে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার এর ক্ষেত্রে অবশ্যই পাসওয়ার্ড ম্যানেজার একাউন্ট এ স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।


প্রতিটি একাউন্ট এ ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

অনেকে দেখা যায় আলাদা আলাদা একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড মনে রাখার ভয়ে সব একাউন্ট এ একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে। আপনি যদি সিকিউর থাকতেই চান তাহলে এটা নিঃসন্দেহে একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এতে করে হ্যাকার আপনার একটি একাউন্ট হ্যাক করেই সবগুলো একাউন্ট এর অ্যাকসেস নিতে সক্ষম। তবে যদি মনে রাখতে অসুবিধাই হয় তাহলে খুব বেশি হলে আপনি সবগুলো একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড এর মধ্যে একটি মিল রাখতে পারেন যেটার মাধ্যমে পরবর্তীতে সহজেই সব একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড মনে করতে পারবেন।


আনকমন ইউজারনেম ব্যবহার করা

হ্যাকার যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে র্যান্ডম অ্যাটাক দিয়ে থাকে তাই আনকমন টাইপের ইউজারনেম ব্যবহার করে একাউন্ট এ অ্যাটাক আসার সম্ভাবনা অনেক কমানো সম্ভব। এছাড়া যেসব ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এর ইউজারনেম অন্যরা সরাসরি জানতে পারে না সেসব ক্ষেত্রে ইউজারনেম গোপন রেখে হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা কমাতে পারেন।


টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু রাখা

গুগল, ফেসবুক কিংবা টুইটার এর মত জনপ্রিয় সার্ভিসগুলোর একাউন্ট সিকিউরিটি বৃদ্ধির জন্য টু স্টেপ ভেরিফিকেশন এর সুবিধা দিয়ে থাকে। এতে পাসওয়ার্ড ক্র্যাক হলেও পরে সেকেন্ড স্টেপ এ এসএমএস কিংবা ইমেইল এর মাধ্যমে লগইন কোড দিয়ে ভেরিফাই করতে হয়। ফলে একাউন্ট এর সিকিউরিটি অনেক অংশে বৃদ্ধি পায়। তাই যেসব ওয়েবসাইট টু স্টেপ ভেরিফিকেশন এর সুবিধা দিয়ে থাকে সেসব ওয়েবসাইট এ টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু রাখা উচিত।


ভিপিএন ব্যবহার করা

অনেক সময় আপনি যখন লগইন পেজে লগইন ইনফরমেশন ইনপুট করেন তখন কোনো তৃতীয় ব্যাক্তি সেটার উপর নজরদারি করার মাধ্যমে আপনার লগইন ইনফরমেশন জেনে নেয়। এই অবস্থায় কোথাও লগইন করার সময় বিশেষ করে আনসিকিউর প্রটোকল এর ওয়েবসাইটগুলোতে লগইন করার সময় ম্যান ইন দ্যা মিডিল অ্যাটাক থেকে বাচার জন্য অবশ্যই ভিপিএন কানেক্ট রাখবেন, এতে কোনো তৃতীয় ব্যাক্তি আপনার কাজের মধ্যে নজরদারি করতে পারবে না।

ফেসবুক গ্রুপ এর পার্মালিংক সেট অথবা পরিবর্তন করার নিয়ম!

আমরা অনেকেই ফেসবুকে গ্রুপ নিয়ে কাজ করি। আমরা যখন আমাদের গ্রুপ এর লিঙ্ক অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে যাই তখন প্রথমে গ্রুপ এ ঢুকে লিঙ্ক কপি করে তার পর সেই লিঙ্ক শেয়ার করতে হয়, কেননা ফেসবুক গ্রুপ এর যে ডিফল্ট লিঙ্ক থাকে সেটা মনে রাখা প্রায় অসম্ভব। ফেসবুক গ্রুপ এর ডিফল্ট লিঙ্ক এর স্ট্রাকচার কিছুটা এরকম: facebook,com/groups/776542319526707, এখানে গ্রুপ এর আইডি নম্বর গুলো অনেক ডিজিটের হয়ে থাকে, ফলে সেগুলো মনে রাখা প্রায় অসম্ভব। ফলস্বরূপ গ্রুপ এর লিঙ্ক শেয়ার করতে হলে প্রতিবার গ্রুপ এর লিঙ্ক কপি করে শেয়ার করতে হয়। এবং আপনার গ্রুপ এর ইউজারদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হয়।


এই অবস্থায় আপনি যদি গ্রুপ এর কাস্টম পার্মালিংক সেট করেন তাহলে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সেটা মনে রাখতে পারবেন এবং পরবর্তীতে সেটা সহজে লিখেই শেয়ার করতে পারবেন। পার্মালিংক সেট করার পর গ্রুপ এর লিঙ্ক এর স্ট্রাকচার কিছুটা এরকম দেখায় facebook,com/groups/permalink । যেমন ট্রিকজাল এর অফিসিয়াল কমিউনিটি গ্রুপ এর লিঙ্ক: facebook.com/groups/trickjal । তাহলে গ্রুপ এর পার্মালিংক সেট করার সুবিধা তো বুঝতেই পারছেন। এখন আপনিও যদি আপনার ফেসবুক গ্রুপ এর পার্মালিংক সেট করতে চান তাহলে এই আর্টিকেল ফলো করতে পারেন।


How To Set Facebook Group Permalink Using Desktop or Mobile Device?


গ্রুপ এর পার্মালিংক ফেসবুক অ্যাপ কিংবা মোবাইল ফেসবুক থেকে সেট করা যায় না, গ্রুপ এর পার্মালিংক সেট করার জন্য অবশ্যই ডেক্সটপ ফেসবুক ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনি যদি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করেই এই কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে মোবাইল ব্রাউজার এ ডেক্সটপ ভিউ এনাবল করে web.facebook.com লিংকে প্রবেশ করতে হবে। তাহলে আপনি মোবাইল ব্রাউজারেই ডেক্সটপ ফেসবুক এর কাজগুলো করতে পারবেন। এবার ডেক্সটপ ফেসবুক এ প্রবেশ করার পর নিচের স্টেপগুলো একটির পর একটি ফলো করুন।


স্টেপ ১: প্রথমেই ফেসবুক এ প্রবেশ করার পর ফেসবুক এর উপরের অ্যাকশন বার থেকে গ্রুপ ট্যাব এ প্রবেশ করুন, গ্রুপ ট্যাব এ প্রবেশ করে বাম পাশের সাইডবার থেকে আপনি যে গ্রুপ এর পার্মালিংক সেট করতে চান সেই গ্রুপ এ প্রবেশ করুন।

স্টেপ ২: গ্রুপ এ প্রবেশ করার পর গ্রুপ পেজের বাম দিকের সাইডবার থেকে সেটিংস এ প্রবেশ করুন।



স্টেপ ৩: সেটিংস পেজে ওয়েব অ্যাড্রেস অপশন খুঁজে বের করে তার পাশে থাকা পেন আইকন এ ক্লিক করুন।



স্টেপ ৪: পেন আইকন এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে গ্রুপ এর পর্মালিংক লেখার জন্য একটি ইনপুট ফিল্ড আসবে সেখানে আপনার গ্রুপ এর জন্য পার্মালিংক লিখুন।

স্টেপ ৫: আপনার লেখা পার্মালিংক টি এভেলেবল থাকলে সবুজ টিক চিহ্ন আসবে(না আসলে অন্য পার্মালিংক ট্রাই করুন)। টিক চিহ্ন আসলে পার্মালিংক সেভ করার জন্য সেভ বাটন এ ক্লিক করুন।



সেভ বাটন এ ক্লিক করলেই পার্মালিংক সেভ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে পার্মালিংক পরিবর্তন করার জন্য একই পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে হবে। 

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে মাল্টিপল ইউজার যুক্ত করতে হয় কিভাবে?

অ্যান্ড্রয়েড বহুল ব্যবহৃত একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হলো এর ফিচার সমূহ। একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ফিচারগুলো একটি কম্পিউটার এর তুলনায় কম কিছু নয়। আপনি চাইলেই উইন্ডোজ এর মতোই এতে একাধিক ইউজার একাউন্ট যুক্ত করতে পারবেন। এতে প্রতিটি একাউন্ট এর আলাদা পাসওয়ার্ড থাকবে, আলাদা আলাদা ভাবে অ্যাপ ইনস্টল করা যাবে। তাছাড়া আলাদা আলাদা ইউজার একাউন্ট এ আলাদা আলাদা ফাইল রাখতে পারবেন, আলাদা আলাদা একাউন্ট এ আলাদা আলাদা লঞ্চার সেটআপ করে নতুন ফোনের মজা নিতে পারবেন। তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একাধিক ইউজার একাউন্ট যুক্ত করা যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


How To Add Multiple User On Android? # Android Multiple User


আলাদা আলাদা অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন এর ডিভাইস এ এই অপশন আলাদা আলাদা জায়গায় থাকে। তাই আমি তিনটি আলাদা আলাদা অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন এর ডিভাইস থেকে এই কাজ করে দেখাবো, তবে অ্যান্ড্রয়েড 9/8 এর ক্ষেত্রে 2 জিবি এর কম র্যাম এর ফোন গুলোতে এই ফিচার থাকার সম্ভাবনা অনেক কম, আর অ্যান্ড্রয়েড গো হলে তো এই ফাইচার কোনো   ভাবেই পাবেন না।  তাহলে পুরো আর্টিকেল পরে জেনে নিন একাধিক ইউজার যুক্ত করার সম্পূর্ন প্রসেস।


অ্যান্ড্রয়েড 9/ অ্যান্ড্রয়েড 8

অ্যান্ড্রয়েড 9 এবং 8 এ একই পদ্ধতিতে এই ফিচার চালু করতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড 9 এবং 8 এর স্টক ওএস এ এই অপশন সিস্টেম সেটিং এর মধ্যে থাকে। তো অ্যান্ড্রয়েড 9 এ মাল্টিপল ইউজার যুক্ত করার জন্য প্রথমেই আপনার ফোনের সেটিংস ওপেন করুন এবং সেটিংস পেজ এর নিচের দিকে স্ক্রল করে সিস্টেম সেটিংস অপশন এ ক্লিক করুন।



সিস্টেম সেটিংস এ প্রবেশ করার পর অ্যাডভান্সড সেটিংস এ প্রবেশ করুন।



অ্যাডভান্সড সেটিংস এ প্রবেশ করার পর মাল্টিপল ইউজার অপশন এ ক্লিক করুন।



এবার ইউজার পেজ থেকে অ্যাড ইউজার অপশন এ ক্লিক করুন।



অ্যাড ইউজার অপশন এ ক্লিক করার পর আপনার কাছে ইউজার যুক্ত করার জন্য পারমিশন চাইবে। আপনি জাস্ট ওকে বাটন এ ক্লিক করুন।



এবার আপনাকে নুতুন ইউজার একাউন্ট সেটআপ করতে বলবে। তো আপনি স্টার্ট নাউ বাটন এ ক্লিক করে নুতুন ইউজার একাউন্ট সেটআপ করে নিন।



নুতুন ইউজার একাউন্ট সেটআপ করে নিলেই আপনার কাজ শেষ। কিভাবে এক ইউজার একাউন্ট থেকে আরেক একাউন্ট এ সুইচ করবেন সেটা জানতে আর্টিকেল এর নিচের দিকে জাম্প করুন।


অ্যান্ড্রয়েড 7

অ্যান্ড্রয়েড 7 এর স্টক ওএস এ এই অপশন সেটিংস পেজের হোমপেজ এ পেয়ে যাবেন। তো অ্যান্ড্রয়েড 7 এ মাল্টিপল ইউজার যুক্ত করার জন্য প্রথমেই সেটিংস ওপেন করে নিচের দিকে স্ক্রল করে ইউজার্স অপশন এ ক্লিক করুন।


ইউজার অপশন এ ক্লিক করলেই আপনাকে ইউজার পেজ ই নিয়ে আসা হবে। নুতুন ইউজার যুক্ত করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড 9 এ যেভাবে ইউজার যুক্ত করার প্রসেস দেখানো হয়েছে সেভাবেই ইউজার যুক্ত করে সেটআপ করে নিন।


এক ইউজার থেকে আরেক ইউজার এ সুইচ করবেন যেভাবে

এক ইউজার থেকে আরেক ইউজার এ সুইচ করার জন্য প্রথমেই আপনার ফোনের রিয়ার প্যানেল শাটার নামিয়ে সেখানে কুইক টুলবার এ থাকা ইউজার আইকন এ ক্লিক করুন।



ইউজার আইকন এ ক্লিক করলে আপনার সামনে ফোনে যতগুলো ইউজার যুক্ত করেছেন তার লিস্ট দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনি যে ইউজার এ সুইচ করতে চান তার প্রোফাইল পিকচার এ ক্লিক করুন তাহলেই সেই ইউজার এ সুইচ হয়ে যাবে।



নুতুন ইউজার এর জন্য ফোন কল এবং মেসেজ রিড করার পারমিশন দিন

আপনি যদি নুতুন ইউজার এর জন্য ফোন কল রিসিভ এবং এসএমএস রিড করার পারমিশন দিতে চান তাহলে প্রথমে অ্যাডমিন একাউন্ট এ সুইচ করে আগের মতোই সেটিংস থেকে ইউজার পেজ ওপেন করুন। ওপেন করার পর যে ইউজার এর জন্য পারমিশন দিতে চান তার নামের পাশে থাকা সেটিংস আইকন এ ক্লিক করুন।



ইউজার সেটিংস থেকে ফোন কল এবং এসএমএস অপশন এর পাশে থাকা টগল টি অন করে দিন। তাহলেই নতুন ইউজার ফোন কল এবং এসএমএস রিসিভ করতে পারবে।



নতুন ইউজার ডিলেট করবেন যেভাবে

নতুন ইউজার ডিলেট করার জন্য আগের মতই একই ভাবে সেটিংস থেকে ইউজার পেজ এ প্রবেশ করুন। প্রবেশ করার পর যে ইউজার ডিলেট করতে চান তার পাশে থাকা সেটিংস আইকন এ ক্লিক করুন।



সেটিংস আইকন এর ক্লিক করলে আপনার সামনে ইউজার সেটিংস এর অপশন গুলো আসবে। সেখান থেকে রিমুভ ইউজার অপশন এ ক্লিক করুন।



রিমুভ ইউজার অপশন এ ক্লিক করলে ইউজার ডিলেট করার পারমিশন চাইবে। জাস্ট ডিলেট বাটন এ ক্লিক করুন। তাহলেই ডিলেট হয়ে যাবে।