হোয়াটসঅ্যাপ vs ফেসবুক মেসেঞ্জার: চ্যাটিং এর জন্য কোনটি বেটার

সোশাল নেটওয়ার্কিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়টি হলো চ্যাটিং। বর্তমানে অনলাইন চ্যাটিং এর অনেকগুলো প্রচলিত অ্যাপ আছে। এই অনেকগুলো অ্যাপ এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি অ্যাপ হলো ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ। সারা বিশ্বের বিলয়ন বিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন বিলিয়ন মেসেজ এই দুটি অ্যাপ এর দ্বারা করে থাকে। কিন্তু আপনি যদি ঠিক করতে না পারেন যে আপনি কোন অ্যাপটি ইউজ করবেন তাহলে এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে কিছু আলোচনার মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাক ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ এর মধ্যে কোন অ্যাপটি চ্যাটিং এর জন্য বেটার।


WhatsApp vs Facebook Messenger: Which is Better For Chating?

কোন প্লাটফর্মটি বেটার সেটা নির্ধারণের জন্য আমরা উভয় প্ল্যাটফর্ম এর ফিচারগুলো এবং সেগুলোর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। তো প্রথমেই দুটি অ্যাপ এর সাথে বিস্তারিত ভাবে পরিচিত হাওয়া যাক।

প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত

হোয়াটসঅ্যাপ


2009 সালে ইয়াহুর দুজন সাবেক কর্মচারী মিলে হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি করে। এটা তৈরি হাওয়ার পর থেকেই একটি মেসেজিং প্লাটফর্ম হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে 2014 সালে ফেসবুক এই প্লাটফর্মটি কিনে নিলে এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়তে থাকে এবং এটা সারা পৃথিবী জুড়ে বহুল ব্যবহৃত একটি মেসেজিং অ্যাপ হয়ে উঠে। এটার মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনে থাকা কন্টাক্ট গুলোর মধ্যে যারা হোয়াটসঅ্যাপ ইউজ করে তাদের সাথে 
মোবাইল ডেটা কিংবা ওয়াইফাই দিয়ে কানেক্ট করতে টেক্সট মেসেজিং করতে পারেন।

ফেসবুক মেসেঞ্জার


ফেসবুকের চ্যাটিং অ্যাপ হিসেবে 2008 সালে ফেসবুক চ্যাটিং অপশন যুক্ত হয়। পরবর্তীতে 2011 সালে ফেসবুক শুধুমাত্র চ্যাটিং এর জন্য ফেসবুকের চ্যাটিং অ্যাপ ফেসবুক মেসেঞ্জার তৈরি করে। তৎকালীন সময়েও ফেসবুক একটি জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্ক থাকার কারণে ফেসবুক মেসেঞ্জার অনেক দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করে। ফেসবুক এবং মেসেঞ্জার এর জন্য দুটি আলাদা আলাদা অ্যাপ ইনস্টল করতে হয় তাই অনেকে আবার দুটি আলাদা আলাদা অ্যাপ ইনস্টল করতে চায় না। তবে ফেসবুক মেসেঞ্জার আসলেই একটি বহুল ফিচার যুক্ত একটি অ্যাপ।

অ্যাপ এর সাথে তো পরিচয় হলো এবার তাহলে মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে এদের যে ফিচারগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

একাউন্টস

হোয়াটসঅ্যাপ

অন্যান্য সোশাল অ্যাপগুলোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ একটু ভিন্ন প্রকৃতির। অন্য সব প্ল্যাটফর্ম গুলোর মত আপনাকে এটাতে লগইন করার জন্য ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড এর দরকার হয় না। আপনার যেটা প্রয়োজন সেটা হলো একটি ফোন নাম্বার। হোয়াটসঅ্যাপ ইউজ করার জন্য আপনাকে জাস্ট ফোন নাম্বার ইনপুট করে সেটা কনফার্ম করতে হয়। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ এ একাধিক একাউন্ট ইউজ করা একটু ঝামেলার। তবে এই প্লাটফর্মে শুধু মাত্র ফোন কন্টাকটগুলোর সাথে কমিউনিকেশন হওয়ায় স্প্যাম মেসেজ এর সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। আবার প্রতিবার ফোন নাম্বার ভেরিফাই করে লগইন করতে হয় তাই কেউ আপনার একাউন্টে লগইন করার ট্রাই করলে ভেরিফিকেশন কোড দেখেই আপনি বুঝতে পেরে যান। ফলে একাউন্ট হ্যাক এর সম্ভাবনা অনেক কম।

মেসেঞ্জার

বাকি সব সোশাল প্ল্যাটফর্ম গুলোর মতো মেসেঞ্জার এ ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হয়। এতে করে আপনি অন্য ডিভাইস থেকে সহজেই লগইন করতে পারেন এবং সহজেই একাধিক একাউন্ট ইউজ করতে পারেন। কিন্তু যেহেতু ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হয় তাই একাউন্ট হ্যাক এর সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কলিং

হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জার উভয় অ্যাপেই আপনি অডিও এবং ভিডিও কলের সুবিধা পাবেন। তবে কলিং এর ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার এর তুলনায় বেশি সুবিধাজনক। বিশেষ করে লো নেটওয়ার্কেও হোয়াটসঅ্যাপ এ স্মুথলি কলিং করা যায়। এমনকি এটি 2G নেটওয়ার্কেও কাজ করতে সক্ষম। তবে হোয়াটসঅ্যাপ এ আপনি সর্বোচ্চ ৪ জনের মধ্যে গ্রুপ কলিং করতে পারবেন। অন্যদিকে মেসেঞ্জার এ গ্রুপ এর সবার মধ্যে গ্রুপ কলিং করা যায়।

মাল্টিমিডিয়া

হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জার উভয় প্ল্যাটফর্ম এ হিউজ স্টিকার লাইব্রেরী আছে। এছাড়া আপনি ইজিলি  ইমেজ, ভিডিও এবং লোকেশন শেয়ার করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ যে সুবিধাটি বেশি দিয়ে থাকে সেটি হলো ইমেজ এবং ভিডিও বাদেও অন্যান্য ফাইল শেয়ারিং। হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি সহজেই কোনো ডকুমেন্ট  শেয়ার করতে পারেন।

ডিজাইন

যদিও কোনো অ্যাপ এর ডিজাইন কেমন সেটা আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে। তারপরও যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে ডিজাইনের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ অনেক লাইটওয়েট একটি অ্যাপ। একটি নরমাল মেসেজিং অ্যাপ যেভাবে ডিজাইন করা দরকার এটাকে ঠিক সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। অন্যদিকে ডিজাইন এর ক্ষেত্রে ফেসবুক মেসেঞ্জার অনেক অ্যাডভান্সড এবং ভারী ডিজাইনের।

কাস্টোমাইজেশন

কাস্টোমাইজেশনের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ এ সেরকম কোনো সুবিধা নেই তবে মেসেঞ্জার এ আপনি অনেক কিছুই কাস্টোমাইজ করতে পারেন। যেমন আপনি মেসেঞ্জার এ উভঁয়ের জন্য চ্যাট কালার এবং ইমুজি সেট করতে পারেন। মেসেঞ্জার এ কাস্টোমাইজেশনের জন্য সবচেয়ে মজার ফিচারটি হলো নিকনেম সেট করা। আপনি উভয় এর জন্য ইচ্ছা মত নিকনেম সেট করতে পারেন।

এনক্রিপশন

আপনার পার্সোনাল মেসেজের সিকিউরিটি যেটার উপর অধিক নির্ভরশীল সেটা হলো এনক্রিপশন। কোন প্ল্যাটফর্ম কিভাবে এনক্রিপ্ট করে সেটার উপরই নির্ভর করছে ওই প্ল্যাটফর্ম কতটা সিকিউর। তো আপনি যদি চ্যাটিং এর ক্ষেত্রে সিকিউরিটির কথা চিন্তা করেন তাহলে এই অংশটি একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

হোয়াটসঅ্যাপ

এনক্রিপশন এর ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ ইন্ড-টু-ইন্ড এনক্রিপশন ইউজ করে ফলে আপনার করা মেসেজ সম্পূর্ণ রূপেই প্রাইভেট থাকে এবং হোয়াটসঅ্যাপ নিজেও আপনাদের কনভারসেশন দেখতে পারে না। এই বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে "আপনাদের মেসেজগুলো লক করে সিকিউর রাখা হয়। আপনার এবং আপনার মেসেজের প্রাপকের কাছে আপনাদের মেসেজের আনলক পাসওয়ার্ড থাকে। আল্ট্রা প্রটেকশন এর জন্য আপনাদের প্রতিটি মেসেজের জন্য একটি করে ইউনিক লক কোড তৈরি হয়"। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এর সবচেয়ে ভালো দিকটি হলো হোয়াটসঅ্যাপ কনভারসেশন গুলো তাদের সার্ভারে স্টোর করে না, ফলে কেউ অবৈধভাবে আপনার একাউন্ট অ্যাকসেস করলেও আপনার চ্যাট গুলো দেখতে পারে না। তবে আপনি ফোন পরিবর্তন করার আগে কিংবা অ্যাপ আনইনস্টল করার আগে চ্যাট গুলো গুগল ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখতে পারবেন এবং পরে সেগুলো রিস্টোর করতে পারবেন। 

মেসেঞ্জার

ফেসবুক কনভারসেশন এর ক্ষেত্রে ইন্ড-টু-এনক্রিপশন থাকে না। ফেসবুক মেসেঞ্জার এ পাঠানো কোনো মেসেজ প্রথমে নরমালি ফেসবুক সার্ভারে যায় এবং সার্ভার থেকে প্রাপকের কাছে যাওয়ার পথে এনক্রিপ্ট হয়। এর মানে এই দাড়ায় যে ফেসবুক আপনাদের কনভারসেশন দেখতে সক্ষম। এছাড়া ফেসবুকের সব কনভারসেশন ফেসবুক সার্ভারে হোস্ট হয়। এখন যদি আপনার একাউন্ট কোনোভাবে হ্যাক হয় তাহলে হ্যাকার আপনার সব মেসেজ দেখে নিতে সক্ষম। ফলে দেখা যায় প্রাইভেসির দিক থেকে হোয়াটসঅ্যাপ অনেক এগিয়ে।

ফলাফল

ফলাফল নির্ভর করছে আপনার উপর। উপরের আলোচনা থেকে আপনার যেটা ভালো লেগেছে সেটাই জয়ী হওয়া উচিত। তো আপনি কোনটি বাছাই করলেন সেটা কমেন্ট করে জানাবেন।

কিভাবে ফেসবুক কনভারসেশন পিডিএফ এ কনভার্ট করতে হয়

হোক কোনো অফিশিয়াল কনভারসেশন কিংবা পার্সোনাল কনভারসেশন অনেক সময়ই আমাদের ফেসবুক মেসেঞ্জার এর কোনো কনভারসেশন ব্যাকআপ রাখার প্রয়োজন হয়। যারা কনভারসেশন কিভাবে ব্যাকআপ রাখবেন এরকম কোনো পদ্ধতি খুঁজছেন এই আর্টিকেল তাদের জন্যই। এই আর্টিকেল এ আমি কিভাবে ফেসবুক মেসেঞ্জার এর কনভারসেশন অফলাইনে ব্যাকআপ রাখা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবো। এই একটি কাজ করার জন্য আমি দুটি আলাদা আলাদা পদ্ধতি আলোচনা করবো। 1. পিডিএফ এ কনভার্ট , 2. কনভারসেশন ডাউনলোড। তো দুটি পদ্ধতি সম্পর্কেই বিস্তারিত জানতে ঝাঁপিয়ে পড়ুন পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য।


How To Convert Facebook Messenger Conversation As PDF?

পিডিএফ এ কনভার্ট করুন

কনভারসেশন পিডিএফ এ কনভার্ট করার জন্য আমাদের একটি ওয়েব টু পিডিএফ অ্যাপ লাগবে। প্লেস্টোর এ যতগুলো ওয়েব টু পিডিএফ অ্যাপ আছে তার মধ্যে মাত্র একটি অ্যাপ এই কাজ করতে সক্ষম। অ্যাপটির সাইজ মাত্র চার মেগাবাইট। এই লিংকে গিয়ে প্রথমেই অ্যাপটি ইনস্টল করুন। ইনস্টল করা হলে অ্যাপটি ওপেন করে একটি এড্রেস বার দেখতে পাবেন। অ্যাড্রেস বারে facebook.com লিখে এন্টার করে ফেসবুক এ লগইন করুন।


লগইন করার পর উপরের নেভিগেশন মেনু থেকে মেসেজ ট্যাবে প্রবেশ করুন। 


ম্যাসেজ ট্যাব থেকে আপনি যে কনভারসেশন পিডিএফ এ কনভার্ট করতে চান সেই কনভারসেশন ওপেন করুন। কনভারসেশন ওপেন হলে উপরের দিকে স্ক্রল করে দেখুন সেখানে "see older messages" নামে একটি অপশন আছে। সেখানে ক্লিক করলে আপনাদের কনভারসেশন এর পুরাতন মেসেজগুলো দেখাবে। এই লিংকে ক্লিক করতে করতে যতক্ষন না কনভারসেশন এর সব মেসেজ ওপেন হয় ততক্ষণ ক্লিক করতেই থাকুন।


সবগুলো মেসেজ লোড করা হলে এবার অ্যাপ এর নিচে নেভিগেশন বারে দেখুন একটি ডাউনলোড আইকন আছে সেখানে ক্লিক করুন। তাহলেই কনভারসেশন পিডিএফ এ কনভার্ট হয়ে পিডিএফ হিসেবে সেভ হয়ে যাবে।


এবার আপনার স্টোরেজে এ গিয়ে ডাউনলোড ফোল্ডারে দেখুন সেখানে "web_to_pdf" নামে একটি ফোল্ডার তৈরি হয়েছে। এই ফোল্ডারের ভিতরে দেখুন আপনি যার সাথের কনভারসেশন পিডিএফ হিসেবে ডাউনলোড করেছেন তার নাম.pdf নামে একটি পিডিএফ ফাইল আছে। এটাই আপনার সেভ করা পিডিএফ ফাইল।


বিঃদ্রঃ এই অ্যাপটির ব্রাউজার অনেক পুরাতন তাই মাঝে মাঝেই নিচের স্কিনশট এর মতো একটি এরোর আসতে পারে। যখনই এরকম আসবে জাস্ট ব্যাক বাটন ক্লিক করবেন তাহলেই ঠিক হয়ে যাবে।


এছাড়াও এই অ্যাপ দিয়ে একই ভাবে অন্য যে কোনো ওয়েবপেজ পিডিএফ এ কনভার্ট করতে পারবেন।

কনভারসেশন ডাউনলোড করুন

কনভারসেশন ডাউনলোড করার জন্য আমরা কনভারসেশন এর পেজটাই ডাউনলোড করে নেবো। তো কনভারসেশন ডাউনলোড করার জন্য প্রথমেই ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে ফেসবুক এ প্রবেশ করুন। প্রবেশ করার পর উপরের নেভিগেশন মেনু থেকে মেসেজ ট্যাবে প্রবেশ করুন।

ম্যাসেজ ট্যাব থেকে আপনি যে কনভারসেশন ডাউনলোড করতে চান সেই কনভারসেশন ওপেন করুন। কনভারসেশন ওপেন হলে উপরের দিকে স্ক্রল করে দেখুন সেখানে "see older messages" নামে একটি অপশন আছে। এখানে ক্লিক করলে আপনাদের কনভারসেশন এর পুরাতন মেসেজগুলো দেখাবে। এই লিংকে ক্লিক করতে করতে যতক্ষন না কনভারসেশন এর সব মেসেজ ওপেন হয় ততক্ষণ ক্লিক করতেই থাকুন।


সবগুলো মেসেজ লোড হলে এবার ডাউনলোড করার পালা। ডাউনলোড করার জন্য প্রথম ক্রোম ব্রাউজারের টপ রাইট কর্নারে থাকা থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করুন।


থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করার পর যে মেনু ওপেন হবে সেখান থেকে ডাউনলোড আইকন এ ক্লিক করুন তাহলেই পুরো পেজ ডাউনলোড হবে।


ডাউনলোড কমপ্লিট হলে এবার আপনার ফাইল ব্রাউজার ওপেন করে ডাউনলোড ফোল্ডার ওপেন করে দেখুন সেখানে আপনার ডাউনলোড করা ফাইলটি .mhtml ফরম্যাটে আছে। পরবর্তীতে এই ফাইলটি আবারও অ্যাকসেস করার জন্য ফাইল ম্যানেজার থেকে ফাইলটির উপর ক্লিক করে রিডার অ্যাপ হিসেবে ক্রোম ব্রাউজার সিলেক্ট করতে হবে। এখন আপনি এই ফাইলটি অনলাইনে অথবা অফলাইনে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।




অনলাইনে হাই কোয়ালিটিতে ফটো হোস্ট অথবা শেয়ার করবেন যেভাবে


আমরা যখন সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোতে ফটো শেয়ার করি তখন সেটা আপলোড এর পর পুরোপুরি ভিন্ন রকম দেখায় এবং সেটার কোয়ালিটি সম্পূর্ণ রূপে লস হয়ে যায়। এটার পিছনে একমাত্র কারণ হলো ফটো কম্প্রেশন। সোশাল মিডিয়া সাইট বা অ্যাপগুলো তাদের স্টোরেজ এর জায়গা বাঁচানোর জন্য এই কাজ করে। আপনি একবার ভেবে দেখুন তারা যদি ফটোগুলো কম্প্রেস করে সাইজে ছোট না করতো তাহলে প্রতিদিন যে পরিমাণে ফটো আপলোড হয় এতে করে তাদের কি পরিমান স্টোরেজ লাগতো। আর এই জন্যই তারা ফটো গুলো অনেক বেশি বা বলতে পারেন আল্ট্রা পরিমাণে কম্প্রেস করে। যদিও এই কম্প্রেশন বাইপাস করার কোনো অপশন নেই। তারপরও এই আর্টিকেল এ আমি কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো যাতে করে আপনারা অনলাইনে হাই কোয়ালিটিতে ফটো হোস্ট অথবা শেয়ার করতে পারেন। তাহলে চলুন ঝাপিয়ে পড়া যাক।


How To Host High Quality Photo Online? Share High Quality Photo Online

গুগল ফটোস


অনলাইনে হাই কোয়ালিটিতে ফটো হোস্ট করার জন্য গুগল ফটোস সেরা সমাধান হতে পারে। গুগল ফটোস একাউন্ট এর সাথে কানেক্ট থাকা ডিভাইসগুলোতে আপলোড করা ইমেজগুলো অটোমেটিক সিঙ্ক করে। আপনাকে জাস্ট ইমেজ প্রাইভেসি পাবলিক করে দিতে হবে। গুগল ফটোস ফটো হোস্ট করার জন্য দুটো অপশন দিয়ে থাকে।

  1. হাই কোয়ালিটি: হাই কোয়ালিটি অপশন থেকে ইমেজ হোস্ট করলে আপনি আনলিমিটেড স্টোরেজ পাবেন। এতে ইমেজের কোয়ালিটি লস ছাড়াই যতটুকু কম্প্রেস করা সম্ভব ততটুকু কম্প্রেস করে। 
  2. অরজিনাল সাইজ: অরজিনাল সাইজ অপশন থেকে ইমেজ হোস্ট করলে আপনি প্রতিটি একাউন্ট এর জন্য 12 গিগাবাইট স্টোরেজ পাবেন। আর এতে ইমেজ অরজিনাল সাইজে রাখা হয়, কোনো কম্প্রেস করা হয় না।

ইমেইল


আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে কম্প্রেস ছাড়াই কোনো ইমেজ ডকুমেন্ট শেয়ার করতে চাইলে ইমেইল অনেক সহজ একটি সমাধান। ইমেইল এ শেয়ার করা কোনো ফাইল কোনো প্রকার কম্প্রেস করা হয় না। সো আপনি পার্সোনালি কোনো ইমেজ কারো সাথে কম্প্রেস ছাড়াই শেয়ার করতে চাইলে ইমেইল অপশনটি বেঁচে নিতে পারেন।

ক্লাউড স্টোরেজ


শুধু ইমেজ না অন্য যে কোনো ধরনের ফাইল হোস্ট করার জন্য ক্লাউড স্টোরেজ অনেক ভালো একটি সমাধান। বর্তমানে অনেক ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস আছে। ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসগুলোর মধ্যে ফ্রী সার্ভিস হিসেবে গুগল ড্রাইভ অনেক জনপ্রিয়। এছাড়াও সিকিউর ক্লাউড স্টোরেজ হিসেবে ড্রপবক্স অনেক জনপ্রিয় তবে ড্রপবক্স ফ্রীতে শুধু মাত্র 2 গিগাবাইট স্টোরেজ প্রদান করে। এর থেকে বেশি স্টোরেজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। ক্লাউড স্টোরেজ থেকে কোনো ফাইল শেয়ার করতে হলে আপনাকে প্রথমে ফাইল আপলোড করে সেটা পাবলিক করে তার পর ফাইলের লিঙ্ক কপি করে শেয়ার করতে হবে।

png তে কনভার্ট করুন


আপনি যদি সরাসরি ইমেজ সোশাল মিডিয়াতে আপলোড করতে চান তাহলে ইমেজের কোয়ালিটি ঠিক রাখার জন্য আপনার উচিত আপলোড করার আগে ইমেজ টা png তে কনভার্ট করে নেওয়া। png এমনিতেই একটি হাই কম্প্রেসিং ফরম্যাট। ফলে সোশাল মিডিয়াতে আপলোড করার পর ইমেজ কম্প্রেস করা হলেও অনেক কম পরিমাণে কম্প্রেস হয়। png তে ইমেজ কনভার্ট করার জন্য অনেক অনলাইন টুল আছে। সো আপনি অনলাইনেই কোনো ইমেজ png তে কনভার্ট করতে পারেন।

আর্কাইভ করে শেয়ার করুন


কিছু কিছু প্লাটফর্মে যেমন WhatsApp এ ইমেজ এবং ভিডিও বাদেও অন্যান্য ফাইল শেয়ার করা যায়। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে আপনি ইমেজগুলো একটি আর্কাইভ করা ফাইল যেমন জিপ অথবা রার আকারে শেয়ার করতে পারেন। এতে ইমেজ কম্প্রেস এর কোনো সম্ভাবনা নেই।

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সারা দেবে শুধু মাত্র আপনার ভয়েসে

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট গুগলের অনেক জনপ্রিয় একটি সার্ভিস। অ্যাসিস্ট্যান্ট কে কমান্ড দিয়ে ফোন চালাতে কে না ভালোবাসে। হেভি ইউজারদের ফোনে 80-100 টা অ্যাপ ইনস্টল করা থাকে। আর এতগুলো অ্যাপ এর মধ্যে দরকারি অ্যাপটি ওপেন করার জন্য খুঁজে বের করা নিশ্চই ঝামেলার। তাই আমরা ফোনের অ্যাপ ওপেন করা থেকে শুরু করে ফ্লাশ লাইট ওপেন করার মত কাজগুলো গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কে ভয়েস কমান্ড দিয়ে করে থাকি। কিন্তু আমাদের কিছু দুষ্ট বন্ধু থেকেই যায় যারা আমাদের কাজের সময় গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কে পাশ থেকে কমান্ড দিয়ে আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটায়।

এই রকম পরিস্থিতিতে তো আমরা প্রতিনিয়তই পরে থাকি। তো আপনি যদি এই সমস্যার সমাধান খুঁজেন তাহলে একমাত্র উপায় হলো গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কে আপনার ভয়েস মডেল দেওয়া। এতে করে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট আপনার ভয়েস চিনে রাখবে এবং পরবর্তীতে শুধু মাত্র আপনার ভয়েস শুনে সারা দেবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টকে আপনার ভয়েস মডেল দিয়ে ট্রেইন করবেন।

প্রথমেই আপনার ফোনের সেটিংস ওপেন করে "গুগল সার্ভিস এবং পারফরমেন্স" এ ট্যাপ করুন।


এবার সার্ভিসেস থেকে "একাউন্ট সার্ভিসেস" সিলেক্ট করুন।


এখন আপনার সার্ভিস লিস্ট থেকে "সার্চ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ভয়েস" অপশন এ ট্যাপ করুন।


এবার গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সিলেক্ট করুন।


গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ওপেন হলে অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্যাবে গিয়ে পেজের একেবারে নিচের দিকে স্ক্রল করে "অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভাইস" থেকে আপনার ফোন সিলেক্ট করুন। তাহলে আপনার ফোনের গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সেটিংস ম্যানেজার ওপেন হবে।


এবার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেটিংস ম্যানেজার এ ভয়েস ম্যাচ থেকে ভয়েস মডেল অপশনে ক্লিক করুন।


আগে থেকে যদি আপনার ডিফল্ট ভয়েস মডেল না থাকে তাহলে "নিউ ভয়েস মডেল" অপশন পাবেন সেটার উপর ক্লিক করুন। আর যদি ডিফল্ট ভয়েস মডেল থাকে তাহলে "রিট্রেইন ভয়েস মডেল" অপশন পাবেন সেটার উপর ট্যাপ করুন।


এবার পালা ভয়েস মডেল দেওয়ার। এখানে আপনার ভয়েস সিম্বল নেওয়ার জন্য দুবার "Ok Google" এবং দুবার "Hey Google" বলতে বলা হবে এবং আপনাকে তাই বলতে হবে।


যদি ভয়েস সিম্বল সঠিক ভাবে দেওয়া হয় তাহলে একটি টিক চিন্হ দেখতে পাবেন এবং তার পাশে একটি নেক্সট বাটন। আপনাকে জাস্ট নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।


এবার আপনার সামনে যে পেজ আসবে সেখানে একটি ফিনিস বাটন দেখতে পাবেন। জাস্ট ফিনিস বাটনটিতে ক্লিক করুন।


ব্যাস আপনার কাজ শেষ। এখন থেকে আপনি যেভাবে ভয়েস সিম্বল দিয়েছিলেন সেভাবেই গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কে কমান্ড দিতে হবে।

অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য বেস্ট ফ্রী এন্টিভাইরাস অ্যাপ গুলো

একটি স্মার্টফোন আমাদের জীবনের একটি আবশ্যক অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। আগেকার দিনে আমরা আমাদের মোবাইল ফোন গুলো শুধুমাত্র যোগাযোগের জন্যই ব্যবহার করতাম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের হাতের স্মার্টফোনটিতে যোগাযোগ ছাড়াও এতে বিভিন্ন দরকারি ডেটা স্টোর করা সহ অনেক পার্সোনাল এবং সেনসিটিভ ডেটা স্টোর করি। আমাদের অত্যন্ত কাছের মানুষও যেটা জানে না আমাদের হাতের স্মার্টফোনটি সেটা জানে।
কিন্তু বর্তমানে প্রায়ই বিভিন্ন পার্সোনাল ডেটা লিক এক খবর পাওয়া যায়। কখনো ভেবেছেন কি, কিভাবে এসব ডেটা লিক হয়? কিভাবে আমাদের পার্সোনাল একাউন্ট গুলো হ্যাক হয়? এসবের মুলে অনেক বড় একটি জায়গা দখল করে আছে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার গুলো। এগুলোই আমাদের ফোনের পার্সোনাল ডাটাগুলো চুরি করে হ্যাকারের কাছে সরবরাহ করে। এছাড়াও ভাইরাস আমাদের ডিভাইসে থাকা অনেক দরকারি ডেটা এনক্রিপ্ট করে দেওয়া, ডিভাইস স্লো করে দেওয়া ছাড়াও অনেক ক্ষতি সাধন করে।

আপনি নিশ্চই এ ধরনের ক্ষতির সমুক্ষিন হতে চাইবেন না। তো এ ধরনের ক্ষতি থেকে দূরে থাকতে চাইলে আমাদের যেটা করা উচিত সেটা হলো আমাদের ফোনটি ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারের থেকে দূরে রাখা। এর জন্য আমাদের নিয়মিত ভাবেই আমাদের ফোন থেকে ভাইরাস ক্লিন করা দরকার। ভাইরাস ক্লিন করার জন্য অনেক ভালো ভালো প্রিমিয়াম এবং ফ্রী অ্যাপস আছে। আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ থাকে তাহলে আপনি ভাইরাস ক্লিন করার প্রিমিয়াম অ্যাপগুলো ইউজ করতে পারেন। আর যদি তা না পারেন তাহলে ফ্রী এর মধ্যে যেসব ভালো অ্যাপস আছে সেগুলো ট্রাই করতে পারেন। তো আজকের আর্টিকেল এ আমি বেস্ট ফ্রী এন্টিভাইরাস অ্যাপ গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

1. Avast Antivirus


সারা পৃথিবী জুড়ে বহু সংখ্যক ব্যবহারকারীকে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার এর ক্ষতি থেকে বচাচ্ছে অ্যাভাস্ট। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম গুলোর মতো এটা অ্যান্ড্রয়েড এর জন্যও রয়েছে। বর্তমানে এটাই টপ রেটিং যুক্ত অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার স্ক্যানিং অ্যাপ। শুধু মাত্র সিঙ্গেল ক্লিকেই আপনি আপনার ফোনে থাকা ক্ষতিকর অ্যাপ, স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যার ইত্যাদি স্ক্যান করতে পারবেন এবং এগুলোর থেকে আপনার ফোনকে প্রোটেক্ট রাখতে পারবেন। এটার ফ্রী এবং প্রিমিয়াম উভয় পরিসেবা আছে। প্রিমিয়াম ভার্সনে আপনি অ্যাডভান্সড কিছু ফিচার পাবেন সেই সাথে প্রিমিয়াম ভার্সন সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন মুক্ত।

2. Bitdefender Antivirus Free


বিট ডিফেন্ডার এন্টিভাইরাস আসলেই একটি পাওয়ারফুল এন্টিভাইরাস টুল। এটা অ্যান্ড্রয়েড এর জন্য অনেক ভালো ভাইরাস প্রটেকশন দিয়ে থাকে। এটাতে থাকছে ক্লাউড স্ক্যানিং টেকনোলজি। ফলে এটা অনেক পারফেক্ট ভাবে আপনার ফোন স্ক্যান করতে পারে। এটা দিয়ে আপনি আপনার ফোনে ইন্সটল থাকা প্রতিটি অ্যাপ স্ক্যান করতে পারেন এবং রিয়াল টাইম প্রটেকশন দিতে পারেন। সেই সাথে এটাতে ভিপিএন এম্বেড করা থাকছে ফলে আপনি এটা ইউজ করেই ব্লক থাকা ওয়েবসাইট গুলো আনব্লক করতে পারবেন এবং ওয়েব ব্রাউজিং করার সময় ওয়েব এ থাকা ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার থেকেও এটা প্রটেকশন দেবে। এটার প্রিমিয়াম পরিষেবায় একাউন্ট প্রাইভেসি, অ্যাপ লকার সহ আরো অনেক ফিচার পাবেন।

3. Norton Mobile Security


নর্টন এন্টিভাইরাসের লেটেস্ট ভার্সন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর ফ্রী ভার্সনেও ইমপ্রেস করার মত সব ফিচার রয়েছে। এটা আপনার ফোনের ভাইরাস স্ক্যান করার জন্য 100% ডিটেক্ট করার ক্ষমতা রাখে। এটার ফ্রী ভার্সন ব্যবহার করেই আপনি আপনার ফোনে বার বার আসা স্প্যাম কল ব্লক করে রাখতে পারবেন। এমনকি কেউ যদি বার বার আপনার ফোন আনলক করার চ্রেষ্টা করে তার ফটো ক্যাপচার করে রাখবে এই অ্যাপ। এটা এখন পর্যন্ত প্লে স্টোরে 10 মিলিয়নের বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে এবং এর প্লেস্টোর রেটিং 4.7।

4. Avira Antivirus


এভিরা এন্টিভাইরাস প্রাইভেসির উপর বেশি ফোকাস করে। বিশেষ করে এই এন্টিভাইরাস দিয়ে আপনি আপনার ফোনের কোন অ্যাপগুলো কোন ধরনের ডেটা অ্যাকসেস করছে সেটা স্ক্যান করতে পারবেন। এটা ব্যবহার করে আপনার পার্সোনাল ইমেইল অ্যাড্রেস অনলাইনে ছড়িয়েছে কি না সেটা চেক করতে পারবেন। অ্যাপস লক করতে পারবেন। সেই সাথে এটি একটি এন্টিভাইরাস অ্যাপ হওয়ার কারণে ম্যালওয়্যার প্রটেকশন তো থাকছেই। এছাড়াও এতে সিকিউর ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর জন্য একটি ভিপিএন(VPN) থাকছে যেটা ব্যবহার করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ 100 মেগাবাইট ইন্টারনেট ইউজ করতে পারবেন।

5. AVG AntiVirus


এভিজি এন্টিভাইরাস এভিজি টেকনোলজিস এর তৈরি করা একটি এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার। এটার ইউজার ইন্টারফেস অনেকটা অ্যাভাস্ট এন্টিভাইরাস এর মতোই। এটা অনেক দরকারি ফিচার প্রদান করে। এটার ফ্রী ভার্সন থেকেই কল ব্লকিং, ওয়াইফাই স্পিড টেস্ট, ওয়াইফাই সিকিউরিটি স্ক্যান, র্যাম বুস্টার, পাওয়ার সেভার ইত্যাদি ফিচারগুলো উপভোগ করতে পারবেন। এটার প্রিমিয়াম ভার্সনে আরো অনেক ফিচার আছে। আপনি চাইলে 14 দিন এর জন্য এটার ফ্রী ট্রায়েল দিতে পারেন। এটা এখন পর্যন্ত প্লেস্টোর থেকে 100 মিলিয়ন এর বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে।

6. Sophos Intercept X


এটা চমৎকার একটি ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড এন্টিভাইরাস অ্যাপ। এটা অ্যাপ এর মধ্যে কোনো বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে না। এটা আপনার ফোনকে ভাইরাস এর কারণে স্লো হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং ওয়াইফাই থেকে আসা ম্যান ইন দ্যা মিডিল অ্যাটাক থেকে প্রোটেক্ট করে। সেই সাথে ম্যালিসিয়াস ওয়েবসাইট ব্লক, স্প্যাম কল ব্লক, অ্যাপ লকারের মতো সুবিধাগুলো তো থাকছেই।

7. ESET Mobile Security & Antivirus


আপনি যদি সেফ ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার জন্য কোনো অ্যান্ড্রয়েড এন্টিভাইরাস সার্চ করে থাকেন তাহলে এটি আপনার জন্য পারফেক্ট। এটার মজার বিষয় হলো এটা জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর ফিশিং পেজ থেকে আপনাকে প্রোটেক্ট করবে। প্রতিনিয়তই অনলাইন একাউন্ট হ্যাক করার জন্য হাজার হাজার ফিশিং পেজ তৈরি হচ্ছে। এই এন্টিভাইরাসের ফিশিং প্রটেকশন ফিচারটি আপনার ব্রাউজারের সাথে ইন্টিগ্রেট হবে এবং সকল প্রকার ফিশিং পেজ থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। তাছাড়া ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার স্ক্যান করার ফিচার তো থাকছেই।


কিভাবে ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ডিলেট অথবা ডিএকটিভ করতে হয়


ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকের তৈরি আরেকটি জনপ্রিয় সোশাল ওয়েবসাইট। সবাই এটাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইমেজ এবং ভিডিও দেখার কাজে ইউজ করে। যেহেতু আপনি এই আর্টিকেল ওপেন করেছেন তাই ধরে নিচ্ছি আপনার একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট আছে আর আপনি সেটা ডিএকটিভ করতে চান। আর যদি তাই হয় তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার অনুরোধ রইলো।
ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট মূলত দুই ভাবে ডিএকটিভ করা যায়। এখানে দুটো পদ্ধতিই দেখানো হবে।
  • টেম্পোরারি ডিএকটিভ
  • পার্মানেন্টলি ডিলেট

আমরা স্টেপগুলো ব্রাউজার ইউজ করে কমপ্লিট করবো কেননা ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ থেকে করতে হলে আপনাকে বার বার ব্রাউজার ওপেন করতে হবে এবং অ্যাপ ওপেন করতে হবে। তাই আমি কাজগুলো ব্রাউজার ইউজ করে করবো। আপনাদেরও ব্রাউজার ইউজ করে করার জন্য রেকমেন্ড করলাম। 

টেম্পোরারি ডিএকটিভ

প্রথমেই একটি ব্রাউজার থেকে ইনস্টাগ্রামে লগইন করুন। এবার নিচের নেভিগেশন বারে থাকা প্রোফাইল আইকন এ ক্লিক করুন এবং প্রোফাইলে প্রবেশ করার পর এডিট প্রোফাইল সিলেক্ট করুন। পরবর্তী পেজে নিচের দিকে স্ক্রল করে Temporarily Disable Account সিলেক্ট করুন।

 এবার একাউন্ট ডিসেবল করার কারণ সিলেক্ট করে আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে Temporarily Disable Account বাটনে ক্লিক করুন।

তাহলেই আপনার একাউন্ট ইনস্টাগ্রাম থেকে টেম্পোরারি রিমুভ হয়ে যাবে। আপনি পরে ইচ্ছা হলেই আবার আপনার একাউন্ট আবার লগইন করে অ্যাকসেস করতে পারেন। এতে আপনার সকল ফলোয়ার, ফটো, ভিডিও এগুলো ইনস্টাগ্রামে থেকেই যাবে। তবে একাউন্ট ডিএকটিভ থাকা অবস্থায় সেগুলো কেউ দেখতে পাবে না। তবে আপনি যদি আপনার সকল ডেটা ইনস্টাগ্রাম থেকে পার্মানেন্টলি ডিলেট করে দিতে চান তাহলে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

পার্মানেন্টলি ডিলেট

ব্রাউজার থেকে ইনস্টাগ্রামে প্রবেশ করে নিচের নেভিগেশন বার থেকে প্রোফাইল আইকন এ ক্লিক করুন। এবার প্রোফাইলে প্রবেশ করার পর টপ লেফট কর্নারে থাকা সেটিংস মেনু থেকে হেল্প সেন্টারে প্রবেশ করুন।

হেল্প সেন্টার এ প্রবেশ করার পর উপরে থাকা সার্চ বারে "Delete My Instagram Account"  লিখে সার্চ করে সার্চ রেজাল্ট থেকে উপরের রেজাল্টটা সিলেক্ট করুন। এবার নিচের দিকে স্ক্রল করে লিংকে ক্লিক করুন। সবশেষে আগের মতোই একাউন্ট ডিলেট করার কারণ সিলেক্ট করে পাসওয়ার্ড দিয়ে Permanently delete my account বাটনে ক্লিক করুন। এবং কনফার্ম করতে বললে ok সিলেক্ট করুন।


তাহলেই আপনার একাউন্ট পার্মানেন্টলি ডিলেট হয়ে যাবে।এতে করে আপনার সব ফলোয়ার, ফটো, ভিডিও এগুলো ইনস্টাগ্রামে থেকে ডিলেট হয়ে যাবে। তবে একাউন্ট ডিলেট করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকবেন কেননা একবার একাউন্ট ডিলেট হয়ে গেলে পরে টা রিকোভার করা অনেক কষ্টকর। তাই ডিলেট করার আগে অবশ্যই ভেবে নেবেন।


ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে একাউন্ট লগ আউট করতে হয় কিভাবে

বর্তমানে সোশাল চ্যাটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জার অন্যতম। প্রাইভেট চ্যাটিং গ্রুপ চ্যাটিং ভিডিও চ্যাটিং সবকিছুর জন্যই ফেসবুক মেসেঞ্জার অনেক জনপ্রিয়। ফেসবুক মেসেঞ্জার এর অনেক সুবিধার মধ্যে একটি অসুবিধা হলো এটা থেকে সরাসরি একাউন্ট লগআউট করা যায় না। এতে একাধিক একাউন্ট যুক্ত করা থাকলে তবেই সাইন আউট থাকা একাউন্টটি রিমুভ করা যায়। আর আপনার মেসেঞ্জার এ যদি একটি মাত্র একাউন্ট লগইন করা থাকে আর আপনি যদি সেটা লগআউট করতে চান তাহলে আপনাকে ম্যানুয়ালি সেটা লগআউট করতে হবে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে একাউন্ট লগআউট করা যায়।
আমরা দুই ভাবে মেসেঞ্জার থেকে একাউন্ট লগআউট করতে পারি,
  • সেটিংস থেকে অ্যাপ এর ডেটা ক্লিয়ার করে
  • ফেসবুক অ্যাপ দিয়ে

1. সেটিংস থেকে অ্যাপ এর ডেটা ক্লিয়ার করে

এটা সব থেকে সহজ এবং শর্ট পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একাউন্ট লগআউট করার জন্য আপনাকে মেসেঞ্জার অ্যাপ এর স্টোরেজ এবং ক্যাশ ফাইল ক্লিয়ার করে দিতে হবে। এই পদ্ধতিতে একাউন্ট লগআউট করার জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

প্রথমেই আপনার ফোনের সেটিংস ওপেন করে "Apps & notifications" এ প্রবেশ করুন। এবার "See All Apps" থেকে মেসেঞ্জার অ্যাপ সিলেক্ট করুন। 

মেসেঞ্জার অ্যাপ এর সেটিংস ওপেন করার পর "Storage" সিলেক্ট করুন। এখন জাস্ট "Clear Storage" এবং "Clear Cache" এ ক্লিক করে অ্যাপ এর স্টোরেজ এবং ক্যাশ ক্লিয়ার করে দিন। এবার আপনার মেসেঞ্জার অ্যাপ ওপেন করে দেখুন একাউন্ট লগআউট হয়ে গেছে।

2. ফেসবুক অ্যাপ দিয়ে

ফেসবুক অ্যাপ দিয়ে শুধু মেসেঞ্জার থেকেই না বরং আগে লগইন করা সকল ডিভাইস থেকে লগআউট করতে পারবেন। একই পদ্ধতিতে আপনি ফেসবুক লাইট কিংবা ব্রাউজার ইউজ করে লগআউট করতে পারবেন। ফেসবুক অ্যাপ ইউজ করে লগআউট করার জন্য নিচের পদ্ধতি ফলো করুন।

প্রথমেই ফেসবুক অ্যাপ ওপেন করে মেনু ওপেন করে স্ক্রল করে নিচের দিকে যান। সেটিংস এবং প্রাইভেসি খুঁজে বের করে সেটিংস এবং প্রাইভেসি থেকে সেটিংস সিলেক্ট করুন।

এবার সেটিং থেকে সিকিউরিটি এবং লগইন সেটিংস এ প্রবেশ করুন। প্রবেশ করার পর সেখানে দেখুন আপনার একাউন্ট থেকে লগইন করা ডিভাইস গুলোর মধ্যে লেটেস্ট দুটি ডিভাইসের নাম দেখাচ্ছে। সেখানে থাকা "See All" বাটনে ক্লিক করুন।

এবার সেখানে দেখানো ডিভাইস লিস্ট এর মধ্যে আপনার মেসেঞ্জার ডিভাইসটি খুঁজে বের করুন। খুঁজে পেলে মেসেঞ্জার ডিভাইসের পাশে থাকা থ্রিডট মেনুতে ক্লিক করুন। এবার লগআউট সিলেক্ট করুন।

যেহেতু আপনি এখানে আপনার একাউন্ট থেকে লগইন করা সকল ডিভাইস এর লিস্ট দেখতে পাচ্ছেন তাই এখানে যদি কোনো সন্দেহজনক কোনো ডিভাইস এর নাম দেখতে পান যেটা থেকে আপনি লগইন করেন নাই সেটা অবশ্যই লগআউট করে দেবেন। এছাড়া একই ভাবে আপনি আগে লগইন করা কোনো ডিভাইস থেকেও আপনার একাউন্ট লগআউট করে ফেলতে পারেন।